উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
হেপাজতে থাকা দিলীপ ও নীলমকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিস। দিলীপের দেখানো জায়গা থেকে কাঠের হাতল যুক্ত ১ ফুট সাড়ে ৩ ইঞ্চির একটি রক্তমাখা কাটারি বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। কাটারিটি একটি লাল গামছায় জড়ানো ছিল। গামছাতেও রক্তের দাগ ছিল। কাটারিতে রক্তের দাগের সঙ্গে চুলও লেগেছিল। সেখান থেকেই পুলিস খুনে ব্যবহৃত একটি রড বাজেয়াপ্ত করে। রডেও রক্ত ও চুল লেগেছিল।
দিলীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পেরেছে, সে ভাইয়ের মাথায় ওই কাটারি দিয়ে কোপায়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে রড দিয়ে বিজয়ের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলম আঘাত করে। বুধবার ধৃতদের ফের আদালতে পেশ করা হয়। কর্মবিরতির কারণে কোনও আইনজীবী ধৃতদের হয়ে এদিন দাঁড়াননি। ধৃতদের ২৮ মে পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা।
পুলিস জানিয়েছে, স্ত্রী ও আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে লিচুবাগানের বাড়িতে থাকে বিজয়ের দাদা ও বৌদি। শুক্রবার সন্ধ্যায় দাদা ও ভাইপোকে লিচুবাগানের বাড়িতে পৌঁছাতে যায় বিজয়। পরেরদিন সকালে বাড়ির কলতলা থেকে বিজয়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের মাথায় গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত ছিল। ছোট ছেলেকে দাদা ও বৌদি মিলে খুন করেছে বলে পুলিসের কাছে অভিযোগ করেন মৃতের মা। ঘটনার পর গা ঢাকা দেয় দিলীপ ও নীলম। এতে তাদের উপর সন্দেহ আরও বাড়ে। সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ ও স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে বিজয়কে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত অনেকটাই পুলিস।