আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
জানা যাচ্ছে, এর কারণ মূলত ভ্যাকসিনের টানাটানিই। যদিও মোদি সরকার তা মানতে নারাজ। আপাতত টিকা না পাঠানোর যুক্তি হিসেবে কেন্দ্রের বক্তব্য, রাজ্যগুলির হাতে পর্যাপ্ত ডোজ রয়েছে। এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, এখনও পর্যন্ত ৯০ লক্ষেরও বেশি ডোজ রয়েছে রাজ্যগুলির হাতে। পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ৪৩ হাজার ৭৭২ টি ডোজ। সেগুলি আগে শেষ হওয়া দরকার। যে মুহূর্তে তা শেষ হওয়ার মুখে পৌঁছবে, তখনই ভ্যাকসিন পাঠানো হবে। স্বাস্থ্যকর্মী, প্রত্যক্ষ কোভিড যোদ্ধা এবং ৪৫ ঊর্ধ্ব নাগরিকদের বিনামূল্যে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচিতে ডোজের কোনও অভাব হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। যদিও তা কেবল মুখের কথাই। কারণ, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্যই বলছে, আগামী তিনদিন স্রেফ মহারাষ্ট্র, কেরল, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়—এই ছ’টি রাজ্যকে সব মিলিয়ে ৭ লক্ষ ২৯ হাজার ৬১০ টি ডোজ পাঠানো হবে। বাকিদের নয়।
তবে দ্বিতীয় ডোজের মাধ্যমে করোনার ঝুঁকি কমাতে এই মুহূর্তে গোটা দেশের মধ্যে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে সব কাজ ফেলে করোনা মোকাবিলাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং গোড়াতেই তিনি সফল। স্বাস্থ্যমন্ত্রক এদিন রাজ্যওয়াড়ি তালিকা প্রকাশ করে জানিয়েছে, গত ১০ দিনে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ প্রায় ৯০ শতাংশ ছুঁয়ে ফেলেছে, যা দেশের সর্বাধিক। এরই মধ্যে টিকার টানাটানি চলায় সিরাম ইনস্টিটিউটের ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিনের ৫০ লক্ষ ডোজ ব্রিটেনে পাঠানোর ব্যাপারে আপত্তি তুলেছে কেন্দ্র। আপাতত তা রপ্তানি হচ্ছে না। একইভাবে কর্মীদের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে ১১ এবং ১৩ মে বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করেও তা বাতিল করে দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। বলাই বাহুল্য, যার কারণ ভ্যাকসিন ঘাটতি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, দ্রুত উৎপাদন না বাড়ালে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে সবাইকে টিকা দেওয়া সম্পূর্ণ হবে না।