উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
উদাহরণ হিসেবে তামিলনাড়ুতে পেরিয়ার, উত্তররপ্রদেশে আম্বেদকর, ত্রিপুরায় লেনিনের মূর্তি ভাঙার ঘটনা তুলে ধরা হল। দলের নেতাদের ট্যুইট থেকে শুরু করে দু’ দফায় বিশেষ সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের পাশে দাঁড়াল কংগ্রেস। কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি এবং পবন খেরা বলেন, বিজেপি মানেই হিংসা আর গোলমাল। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গকে দেশের মডেল রাজ্য বলেও তুলে ধরলেন তাঁরা। আর সেই রাজ্যেই রোড শোয়ের নামে বাইরে থেকে লোক নিয়ে গিয়ে বাংলার সংস্কৃতিতে আঘাত করার জন্য গলা না তুলে মোদি-অমিত শাহর চুপ করে থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করল কংগ্রেস।
অন্যদিকে, বিদ্যাসাগর ইস্যুতে বাংলার আবেগকে অস্ত্র করে রাজধানী দিল্লিতে সরব হল তৃণমূল। প্রথমে সাংবাদিক সম্মেলন করে তোপ। পরে নির্বাচন কমিশনে দরবার করল তারা। বিজেপিই মূর্তি ভেঙেছে, তাণ্ডব চালিয়েছে অভিযোগ দেগে কমিশনে ৪৪টি ভিডিও ক্লিপিংস জমাও করল টিএমসি। কমিশনে তাদের আবেদন, লোকসভার সপ্তম তথা শেষ দফায় যেন বিজেপি কোনওভাবেই পশ্চিমবঙ্গে গোলমাল পাকাতে না পারে। গতকালের ঘটনার জন্য বিজেপিকে দেশের লজ্জা বলেও সমালোচনা করল টিএমসি। অমিত শাহর রোড শোয়ে তাণ্ডব এবং বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় বাংলার আবেগে আঘাত বলেই তোপ দাগল তৃণমূল। মমতার নির্দেশ মতো ডেরেক ও’ব্রায়ান, সুখেন্দুশেখর রায়, মণীশ গুপ্ত এবং নাদিমুল হক — তৃণমূলের চার রাজ্যসভার সদস্য বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন। বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণপরিচয়’ হাতে নিয়ে বিজেপিকে তাঁদের জবাব, বাংলার মানুষ মোটেই এই ঘটনায় মোদি-অমিত শাহকে ক্ষমা করবে না। নির্বাচনে অপমানের জবাব দিয়ে দেবে। অমিত শাহর দাবি, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে তৃণমূল। এখন পরিস্থিতি ঘোরাতে নাটক করছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করাই নয়। তৃণমূল এদিন তাণ্ডবের ভিডিও ফুটেজ সহ গোলমাল যে পরিকল্পনা মাফিক, তার একটি হোয়াটস অ্যাপ বার্তার ফুটেজও প্রকাশ্যে আনে। প্রশ্ন তোলে, এর কী জবাব দেবেন অমিত শাহ?
এদিকে, টিএমসির সংসদীয় দলের থেকে ক্লিপিস পাওয়ার আগেই গতকালের ঘটনা নিয়ে এদিন সকালে নির্বাচন কমিশন বৈঠকে বসে। কলকাতায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হয়। সেই মতোই শেষ দফায় নির্বিঘ্নে ভোট করাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ঠিক করে কমিশন। যদিও তা ঠিক কী, তা জানাতে চায়নি নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে স্রেফ জানানো হয়, বৈঠক হয়েছে।