শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
তাঁরা। গাড়ির ভাড়া বাবদ ৮০০ টাকা মেটান ওই বাসিন্দারাই। বর্তমানে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি স্বপন পাল। তাঁর একমাত্র সন্তানকে পাশের আত্মীয় বাড়িতে রাখার ব্যবস্থা করেন ওই বাসিন্দারাই। এলাকার বাসিন্দা এই যুবকরা কেউ যুক্তিবাদী মঞ্চের সদস্য। আবার কেউ বা রেড ভলান্টিয়ার্স-এর সঙ্গে যুক্ত। এলাকার মানুষের বিপদের কথা শুনলেই এগিয়ে আসছেন তাঁরা।
শুধু স্বপনবাবুই নন। গোপালনগরের নহাটা এলাকায় এমন বহু মানুষ রয়েছেন, যারা বর্তমান সময়ে নানা সমস্যার মধ্যে আছেন। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কাউকে পাওয়া না গেলেও এলাকার এই বাসিন্দাদের ডাকলেই কাছে পাচ্ছেন সকলে। করোনা আক্রান্তের বাড়ি স্যানিটাইজার স্প্রেও করছেন তারা। নহাটা থেকে বনগাঁ হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। লকডাউনে বাস, অটো বন্ধ। ফলে জরুরি পরিস্থিতিতে যানবাহনের সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। করোনা পজিটিভ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া গেলেও সাধারণ অসুস্থদের জন্য গাড়ি মিলছে না। স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ সরকার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ অসুস্থ হলে তাঁর আত্মীয় পরিজনরাই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। আমাদের খবর দিয়েই দায় সারছেন তাঁরা। করোনা আবহে কেউ অসুস্থ হলে তাঁর করোনা পরীক্ষার জন্য বনগাঁ হাসপাতালে আসতে হয় নহাটাবাসীদের। স্থানীয় পাল্লা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই পরীক্ষা হলেও তা সপ্তাহে একদিন। প্রচণ্ড ভিড়ে অধিকাংশ মানুষকে পরীক্ষা না করিয়েই ফিরে আসতে হয়। স্থানীয় নহাটা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত করোনা পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রদীপ সরকারদের মত মানুষেরা বর্তমান পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর খুশি এলাকাবাসী।
বনগাঁ শহরেও করোনা আক্রান্ত ও অসুস্থ মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন যুবক। কেউ শ্বাসকষ্টজনিত কোনও সমস্যায় ভুগছেন বা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন — এমন খবর পেলেই ছুটে যাচ্ছেন তাঁরা। অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগাড় করে দেওয়া থেকে অসুস্থদের শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা মাপা— সব কাজই করছেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে অসুস্থদের পরামর্শ দিচ্ছেন। স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে ক্লাস করে কোন উপসর্গে কী করণীয়, জেনে সেই মতো কাজ করছেন ওই যুবকেরা। এঁদের মধ্যে কেউ কেউ রেড ভলান্টিয়ার্স-এর সঙ্গেও যুক্ত আছেন। তাঁদের এই কাজকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।