সুদেব দাস, আরামবাগ: অতিবৃষ্টির কারণে গত বছর বাদাম চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। বাদামের রঙের উজ্জ্বলতা হারিয়ে কালো হয়ে গিয়েছিল। তাই খোলাবাজারে চাহিদা থাকলেও, ভালো মানের বাদামের জোগান দিতে পারেননি চাষিরা। পুজোর পরে আরামবাগ মহকুমাজুড়ে শুরু হবে বাদাম চাষ। তবে এবার ভালো ফলন পেতে এখন থেকেই বাদাম চাষে বাড়তি জোর দিচ্ছেন চাষিরা।
নিজস্ব প্রতিনিধি: টবেই ফলানো যাবে ড্রাগন ফ্রুট। ১৮ মাসের গাছেই মিলবে ফল। এমনটাই জানাচ্ছেন উদ্যানপালন আধিকারিকরা। 
শীর্ষেন্দু দেবনাথ, কৃষ্ণনগর: বেকার যুবকদের জীবন বদলে দিচ্ছে ফ্রেঞ্চ বিন চাষ। নদীয়ার নাকাশিপাড়ার পাটিকাবাড়ির তাঞ্জির মণ্ডল, চিচুড়িয়ার সাজিদুর রহমান এখন আত্মবিশ্বাসী। একবছর আগে প্রথম এই চাষ শুরু করেছিলেন তাঁরা। বেশ ভালো লাভ হয়েছিল।
হরিহর ঘোষাল, মেদিনীপুর: একটা সময় সবং থেকে বিপুল পরিমাণ পান রপ্তানি হতো ইংল্যান্ডে। বছর চারেক আগে তাতে ছেদ পড়ে। সালমোনেলা নামে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার প্রকোপ দেখা দেয় পানে। তার জেরে সবংয়ের পান তো বটেই, এ রাজ্যের পান নেওয়া বন্ধ করে দেয় ইংল্যান্ড। সেই হারানো বাজার ফিরে পেতে এবার সবংয়েরই একদল চাষি সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে পান চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন।
ব্রতীন দাস: মাছ চাষের জন্য এখন আর পুকুরের দরকার নেই। বাড়ির ছাদে ট্যাঙ্কেই পছন্দমতো মাছ চাষ করা সম্ভব। মৎস্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেভাবে দ্রুত নগরায়ণ হচ্ছে, তাতে কমছে জলাশয়। আবার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য হিসেবে বাড়ছে মাছের চাহিদা।
প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
কিন্তু, কীভাবে ছাদের মধ্যে এই অসাধ্য সাধন করলেন? সেখানে গিয়ে দেখা গেল, বাড়ির ছাদে প্রথমে বাঁশের মাচা করা হয়েছে। তার উপরে ইট সাজানো হয়েছে। সেখানে পলিথিন সিট করে ৭ ইঞ্চি পুরু মাটি দেওয়া হয়েছে। তারপর তাতে লাগানো হয়েছে ধান ও তিল। নিয়মিত ধানের পরিচর্যা করা হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ির ছাদেই প্রচুর ফুল ফলের গাছও লাগিয়েছেন তিনি। খাওয়ার সময় বাদ দিয়ে দিনের বাকি সময় নিজের বাগান পরিচর্যাতেই ব্যয় করেন তিনি।
এ ব্যাপারে কাটোয়া-১ ব্লক কৃষি আধিকারিক আজমীর মণ্ডল বলেন, ছাদের মধ্যে ধান চাষ দেখে আমরাও খুব অবাক। তবে, যাদের জমি নেই, তাঁরাও ছাদের মধ্যে এভাবে চাষ করতে পারেন। কৃষিদপ্তর সবসময়ই পাশে থাকবে। তাছাড়া এখন আতমা প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ির মধ্যেই দেশি মাগুর, কই মাছ চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। আমরা শীঘ্রই ওই যুবককে এবিষয়ে পরামর্শ দেব।
জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই চঞ্চলবাবুর গাছের প্রতি টান। রাস্তাঘাটে যেখানেই গাছ পেতেন তা তুলে নিয়ে আসতেন নিজের বাড়িতে। তারপর তা টবে রেখে যত্নে বড় করে তুলতেন। এরপর ধীরে ধীরে টবে দেশ বিদেশের নানা প্রজাতির গাছ লাগান। টবের মধ্যে জলপদ্ম, কলসপত্রী, সূর্যমুখী থেকে হংসলতা, লেবু, পেয়ারা সবই লাগানো রয়েছে। তাছাড়া বাড়ির দেওয়াল জুড়েও মাচা করে নানা প্রজাতির গাছ লাগানো রয়েছে। তবে, লকডাউনের মধ্যেই তিনি বাড়ির ছাদে চাষ করে ফেলেন মিনিকিট প্রজাতির ধান। যদিও তিনি গতবছর ওই একই জায়গায় গোবিন্দভোগ প্রজাতির ধানের চাষ করে সাফল্য পেয়েছিলেন। ফলনও ভালো হয়েছিল। এখন গতানুগতিক ধান চাষের বদলে সুগন্ধি ধান চাষের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষিদপ্তর। সেখানে ছাদের মধ্যে সুগন্ধি ধান চাষ করায় হতবাক শহরের বাসিন্দারা। অনেকেই জানান, ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়, তা ওই যুবকের কাজেই প্রমাণিত। বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগে বাড়ির মধ্যেই সবুজের বাগান অনেককেই এই কাজে প্রেরণা জোগাবে। চঞ্চলবাবু বলেন, ধানের ক্ষেত্রে ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত মাটির গভীরতা লাগে। আর আমি ৭ ইঞ্চি মাটি দিয়েছি। তাছাড়া আমার এই চাষে জলও কম লাগে। প্রত্যেক মানুষ ইচ্ছা করলেই অনেক কিছু করতে পারেন। আমি সামান্য চেষ্টা করেছি। লকডাউনে ঘরবন্দি ছিলাম। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তাই বাড়ির ছাদেই ধানের চাষ শুরু করি। গাছের প্রতি ভালোবাসা আমার জন্ম থেকেই। এরপর ভবিষ্যতে সুন্দরবনের নোনা মাটিতে যে গাছ হয়, সেই গাছও আমার ছাদে টবে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
