হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
পরিচিত ৪-৪-১-১ ফর্মেশনে শুরু থেকেই মনবীররা ছিলেন আক্রমণের মুডে। বাগানের উইং প্লে রুখতে পাঁচ ডিফেন্ডারেদল সাজান পাঞ্জাব কোচ। দিনের প্রথম সুযোগ এসেছিল গ্রেগ স্টুয়ার্টের কাছে। লুজ বল নিয়ে বক্সের ডগায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। স্কটিশ মিডিও ফিট থাকলে অনেক আগেই ফিনিশ করে দিতেন। কিন্তু দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় নেওয়া তাঁর সিটার ফিস্ট করেন পাঞ্জাব গোলরক্ষক রবি। ২৭ মিনিটে স্টুয়ার্টের আউটস্টেপের নিখুঁত থ্রু খুঁজে নেয় ম্যাকলারেনকে। কিন্তু বক্সে ঢুকেও লংডিমের শোল্ডার পুশে ছিটকে পড়েন তিনি। এরইমধ্যে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন সাহাল। প্রথমার্ধের শেষ পর্বে লিড নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করলেন লিস্টনও।
বিরতির পর আশিস রাইয়ের পরিবর্তে আশিক কুরুনিয়ানকে মাঠে নামিয়ে বাঁ প্রান্তে জোর বাড়ান মোলিনা। ৫৫ মিনিটে পেত্রোসের শট পোস্টে লাগে। এরপরেই দুরন্ত গোল ম্যাকলারেনের। ডান প্রান্ত থেকে দীপ্যেন্দুর সেন্টার চমৎকার রিসিভে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অনবদ্য শটে জাল কাঁপান তিনি (১-০)। সাত মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়ালেন লিস্টন। তবে গোলের কৃতিত্ব স্টুয়ার্টের। পাঞ্জাব বক্সে জটলা থেকে বল পেয়েছিলেন গোয়ানিজ উইঙ্গার। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে নেওয়া তাঁর শট জালে জড়ায় (২-০)। সেই মুহূর্তে স্কটিশ মিডিওর শরীরের আড়ালে ছিলেন পাঞ্জাব গোলরক্ষক রবি। ম্যাচের সংযোজিত সময়ে বিপক্ষ রক্ষণের ভুলে দ্বিতীয় লক্ষ্যভেদ ম্যাকলারেনের (৩-০)।
প্রথম গোলরক্ষক হিসেবে আইএসএলে ৫০টি ক্লিটশিটের নজির গড়ায় এদিন ম্যাচের আগে বিশাল কাইথকে বিশেষ সম্মান জানায় লিগ কমিটি। এদিন আরও একবার দুর্গ অক্ষত রেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। উল্লেখ্য, পরবর্তী ম্যাচে ১৫ ফেব্রুয়ারি কেরল ব্লাস্টার্সের মুখোমুখি হবে মোহন বাগান। তবে কার্ড সমস্যায় সেই ম্যাচে নেই গ্রেগ স্টুয়ার্ট। পাশাপাশি এদিন চোট পান সাহাল আব্দুল সামাদ। হাতে বেশ কিছুটা সময় রয়েছে। এই পর্বে ফের একবার মাঝমাঠ নিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা কষতে হবে কোচ মোলিনাকে।
মোহন বাগান: বিশাল, আশিস (আশিক), দীপ্যেন্দু, আলবার্তো, শুভাশিস, মনবীর, সাহাল (অভিষেক), দীপক, লিস্টন, স্টুয়ার্ট (কামিংস) ও ম্যাকলারেন।