হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
অতীতে কালনার ঐতিহ্যবাহী সরস্বতী পুজোর বিসর্জন ছিল বড় আকর্ষণীয়। গ্যাস ও নিওন বাতির আলোয় বিসর্জনের শোভাযাত্রায় রাজ্য ও ভিনরাজ্য থেকে আসত নাচের দল। পরবর্তীতে ক্লাবগুলি বিসর্জনের ঝক্কি ঝামেলা এড়াতে দর্শকদের আকর্ষণ করতে মণ্ডপ ও থিমের দিকে ঝোঁকে। তা সত্ত্বেও অনেক ক্লাব আজও বিসর্জনের শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে আসছে। তা দেখতে শহরের মূল রাস্তার দু’ধারে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।
কালনা শহরের পাথুরিয়া মহল এলাকায় লায়ন ক্লাবে ২৫ বছর আগে সরস্বতী পুজো শুরু হয়। পুজোর পাশাপাশি সামাজিক কাজেও সারা বছর মানুষের পাশে থাকেন ক্লাবের সদস্যরা। প্রবীণরাও তাঁদের উৎসাহ দিতে পাশে দাঁড়ান। তবে, শুরু থেকেই ক্লাবের মুল আকর্ষণ বিসর্জনের শোভাযাত্রা। এবার ক্লাবের ২৬তম বর্ষ। বিসর্জনে থাকছে কালনার প্রাচীন ২৫ চূড়া লালজিমন্দির, বর্ধমানের কার্জন গেট। সামাজিক সচেতনতায় জল অপচয় রোধ থেকে নানা ট্যাবলো। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পের প্রচার। এছাড়াও আলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে রকমারি ট্যাবলো। সঙ্গে থাকবে রাজ্য ও ভিনরাজ্যের লোকনৃত্য। বিশেষ চমক ভ্রাম্যমান অর্কেস্ট্রা। এবার প্রতিমায় রয়েছে শিশুর হাতে খড়ি থিম। বিসর্জনের থিমের ভাবনায় মূল কারিগর হলেন ক্লাব সদস্য সুভাষ বৈরাগ্য। ক্লাবের সভাপতি অলিপ সাহা, সম্পাদক দেবাশিস মল ও কোষাধ্যক্ষ সুশান্ত দাস বলেন, নবীন ও প্রবীণ সদস্যদের হাত ধরে এই সরস্বতী পুজো হয়। এবার পুজোর বাজেট সাত লক্ষাধিক টাকা।
কালনার ইতিহাস লেখক সুমাল্য দাস বলেন, ঐতিহ্যবাহী সরস্বতী পুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা বহু প্রাচীন। অতীতে টোল থেকে গুরুকুলের পুজোয় নগর পরিক্রমার পর প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হতো ভাগীরথী নদীতে। কালনার সরস্বতী পুজো আজ থিম ও মণ্ডপের ভাবনায় উজ্জ্বল হলেও বিসর্জনের শোভাযাত্রা অতীতের সুনাম ধরে রেখেছে।-নিজস্ব চিত্র