হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
মহিষাদল রাজ ময়দানে বসে প্রতিযোগিতার আসর। ৪০তম বার্ষিক এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ঘিরে পড়ুয়াদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।
এবার মহকুমা প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিল মহিষাদল পূর্ব চক্র। হলদিয়া মহকুমার পাঁচটি ব্লক ও একটি পুরসভার মোট আটটি চক্রের পড়ুয়ারা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ছাত্র ও ছাত্রীদের ৭৫, ১০০ ও ২০০মিটার দৌড়, লং জাম্প ও হাই জাম্প, শাটল রেস, যোগাসন, জিমন্যাস্টিকের মতো ৩৪টি ইভেন্টে মোট প্রতিযোগীর সংখ্যা ছিল ২৪৬। এদিন মহকুমা প্রাইমারি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মহিষাদলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি শেখ হাবিবুর রহমান, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(প্রাথমিক শিক্ষা) চন্দ্রশেখর জাউলিয়া, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মানসকুমার পন্ডা, কর্মাধ্যক্ষ, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস প্রমুখ। মহিষাদল পূর্ব চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভদীপ রায় বলেন, রাজ্য সরকারের বিদ্যালয় শিক্ষাদপ্তরের আর্থিক সহায়তায় এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার প্রতিযোগিতায় আটটি চক্রের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে মহিষাদল পূর্ব চক্র। তারা অ্যাথলেটিক্স ও জিমন্যাসটিকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এবং যোগাসনে রানার্স হয়েছে। মার্চ পাস্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মহিষাদল উত্তর চক্র। গতবার মহিষাদলের রনিতা দিন্দা রাজ্যস্তরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় জেলার হয়ে দৌড়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিল। অ্যাথলেটিক্স, যোগাসন এবং জিমন্যাস্টিকে বয়স ভিত্তিক তিনটি বিভাগে ৩৪টি ইভেন্টে পড়ুয়ারা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এবার অ্যাথলেটিক্স ও জিমন্যাস্টিকে রানার্স হয়েছে সুতাহাটা দক্ষিণ চক্র এবং যোগাসনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সুতাহাটা উত্তর চক্র। ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস কমিটির জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটর শিক্ষক সুমন সাঁতরা বলেন, মহকুমায় প্রতিটি ইভেন্টের প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারী আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দীঘা বিদ্যাভবনের মাঠে জেলা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। তিনি বলেন, এবার যোগাসনে নজর কেড়েছে প্রাচী ভৌমিক। খুদে পড়ুয়াদের সবচেয়ে মজার খেলা বসে ফুটবল থ্রোয়িং। এই খেলায় লিজা পারভীন দারুণ ফল করেছে। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা বলেন, দিন দিন খেলার মাঠ কমতে থাকায় পড়ুয়ারা খেলাধুলো করার জায়গা পায় না। মাঠ নেই, স্কুলে খেলাধুলোর ঠিকমতো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নেই। আগে ডিসেম্বর মাসে প্রাইমারির বার্ষিক ক্রীড়া আয়োজন করা হতো। তখন তারা খেলা চর্চার সময় পেত। এখন বছরের শিক্ষাবর্ষের শুরুতে প্রতিযোগিতা হওয়ায় কেউ প্র্যাক্টিসের সময় পাচ্ছে না।