হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের পাত্রসায়র ব্লক সভাপতি প্রভাত মুখোপাধ্যায় বলেন, কাটোরায় একটি জমিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট হয়েছে। তাতে আমাদের দলের অঞ্চল সভাপতি জখম হয়েছেন। বিষয়টি পুলিস দেখছে।
জখম তাপসবাবু এদিন নার্সিংহোমের বেডে শুয়ে বলেন, কাটোরায় একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি সরকারি নথিতে শ্মশান বলে উল্লেখ রয়েছে। এনিয়ে আদালতে মামলাও হয়। স্থানীয় লালবাঁধ গ্রামের প্রায় ২০জন চাষি ওই জমিতে চাষ করতে গেলে কাটোরা গ্রামের লোকজন বাধা দেন। সেকথা জানতে পেরে আমি এদিন সকালে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তখনই আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে মাটিতে ফেলে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। পুলিস এসে আমাকে উদ্ধার করে।
কাটোরা গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, কাটোরায় বহু বছর ধরে একটি শ্মশান রয়েছে। সেখানে পুকুর সহ মোট ১৮বিঘা পতিত জমি রয়েছে। আদালতে মীমাংসা না হওয়া সত্ত্বেও তৃণমূল নেতা তাপস বারি দলবল নিয়ে জমির দখল নিতে আসেন। বাধা দিতে গেলে বোমা ফাটানো হয়। আমাদের মারধরও করা হয়।
এদিন কাটোরায় গিয়ে দেখা গেল, লালবাঁধ ও কাটোরা গ্রামের প্রায় মাঝখানে ফাঁকা মাঠের মধ্যে একটি পতিত জমি রয়েছে। সেখানে পুকুর ও শ্মশান রয়েছে। প্রচুর পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। পাত্রসায়রের ওসি এবং সিআই সেখানে উপস্থিত রয়েছেন। গোটা এলাকা থমথমে। চারদিকে প্রচুর ভাঙা ইট পড়ে রয়েছে। একটি জায়গায় বোমা ফাটার পোড়া সুতলিও দেখতে পাওয়া যায়। দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ওই জায়গায় দু’পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। প্রচুর ইট বৃষ্টি হয়েছে। কাটোরা গ্রামেও প্রচুর পুলিস মোতায়েন করা হয়। গ্রামের বাসিন্দারা ক্যানেলের ধারে জটলা পাকিয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশের মুখে গামছা বাঁধা রয়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের দেখে তাঁরা এগিয়ে এলেও কিছুক্ষণের মধেই পুলিস তাঁদের হটিয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে জমির মালিক দাবি করা লালবাঁধ গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি একটি ট্রাক্টর নিয়ে বিতর্কিত ওই জমিতে লাঙল দিতে আসে। তখনই কাটোরা গ্রামের বাসিন্দারা আপত্তি জানায়। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। বাধা পেয়ে জমি থেকে ট্রাক্টর উঠে যায়। তারপর এদিন সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের বেলুট-রসুলপুর অঞ্চল সভাপতি তাপসবাবুর নেতৃত্বে কয়েকজন চারটি ট্রাক্টর নিয়ে পুনরায় ওই জমিতে চাষ দিতে আসে। কাটোরা গ্রামের বাসিন্দারা বাধা দেন। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একে অপরের ভাঙা ইট ছুড়তে থাকে। তাতে কয়েকজন জখম হন। ওই সময়েই বোমাও ফাটানো হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই কাটোরা গ্রামের বাসিন্দারা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সমস্ত আক্রোশ তাপসবাবুর উপর গিয়ে পড়ে। তাঁকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক পেটানো হয়। তাতেই তিনি জখম হন।