সংবাদদাতা, বেলদা: বেলদা থানার কেদার হাইস্কুলের পড়ুয়াদের কাছে আর পাঁচদিনের চেয়ে আলাদা ছিল বুধবার। এদিন স্কুলে কাউকে বই-খাতা নিয়ে আসতে হয়নি। কেননা স্কুলে বসেছে ‘খাদ্য উৎসব’। নানা ধরনের স্বাদের রকমারি খাবারের ডালি নিয়ে এদিন বসেছিল খাদ্য উৎসব। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ভূরিভোজ’। আর সেইসমস্ত খাবারের স্বাদ নিল পড়ুয়ারা। জমে উঠল বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। বেলদা থানার অন্তর্গত দাঁতন-২ ব্লকের কেদার হাইস্কুলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যগ্রহণ ও খাদ্যের পুষ্টিগত গুণাবলীর বিষয় সচেতনতা বাড়াতে এবছর প্রথমবার এই খাদ্য উৎসবের আয়োজন করা হয়। এদিন খাদ্য উৎসবের উদ্বোধন করেন দাঁতন-২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ইফতেকার আলি। উপস্থিত ছিলেন বিডিও অভিরূপ ভট্টাচার্য, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শঙ্কর ভুঁইয়া সহ অন্যান্যরা। এই খাদ্য উৎসবে ১৫টি স্টলে ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা তৈরি করা নানা ধরনের খাবার ছিল। উপস্থিত অতিথি থেকে পড়ুয়ারা সেই খাবারের স্বাদ নেন। স্টলে ছিল দুধপুলি, পাটিসাপ্টার মতো নানা পিঠের আয়োজন। পাশাপাশি ছিল চিকেন পকোড়া, চিকেন পাফ, চিকেন মোমোর মতো নানা সুস্বাদু খাদ্য। ছিল ফুচকা, আলুকাবলিও। চোখের সামনে এরকম লোভনীয় নানা ধরনের খাবার দেখতে পেয়ে খুশি হয় পড়ুয়ারা। স্টলে থাকা পড়ুয়া সুজন দোলাই, শিউলি দাস বলে, অন্যান্য দিনের থেকে আজকের দিনটা আমাদের কাছে একটু আলাদা। বাড়ি থেকে নানা ধরনের খাবার নিজে হাতে বানিয়ে বন্ধুবান্ধবদের খাওয়াতে পেরেছি। পড়াশোনার পাশাপাশি আমরা যে এগুলো বানাতে পারি তা সকলকে বোঝাতে পেরেছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিন্দ্যকুমার পড়্যা বলেন, পড়ুয়াদের মধ্যে প্রতিভা খুঁজে বের করে আনতে এই ধরনের আয়োজন। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে কীভাবে খাদ্যগ্রহণ করা উচিত ও খাদ্যের পুষ্টিগত গুণাবলি সম্পর্কে হাতে-কলমে তাদের শেখাতে এই আয়োজন। স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি পিনাকী বর্মন বলেন, প্রান্তিক এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনোর পাশাপাশি সহপাঠক্রমিক কার্যকলাপকে গুরুত্ব দিতে এবছর থেকে খাদ্য উৎসব শুরু করা হল। আগামী দিনে ছাত্রছাত্রীদের স্বনির্ভর করতে ও তাদের মধ্যে প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে এই ধরনের নানা কর্মসূচি চলবে।-নিজস্ব চিত্র