হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
এবার দিবাকরপুর হাইস্কুল থেকে মোট ১৪৫ জন মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। পাশাপাশি ৬৫ জন ছাত্রছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিক দেবে। সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে বুধবার স্কুলে প্রীতিভোজ ছিল। পাশাপাশি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড বিতরণ করা হয়। স্কুলের পক্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট রাখার খাম দেওয়া হয়েছিল। বেলা ১টার মধ্য বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীকে অ্যাডমিট দেওয়ার কাজ শেষ হয়। ১৪-১৫ জন দেরি করে আসায় তাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার কাজ চলছিল। তার আগে ওই ছাত্রী সহ বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট সংগ্রহ করে নেয়। প্রত্যেকের অ্যাডমিট কার্ড বিরতণ হয়ে যাওয়ার পর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের একসঙ্গে বসিয়ে খাওয়ানোর পরিকল্পনা ছিল।
বেলা ১টা ১০ মিনিট নাগাদ আচমকা স্কুলের দোতলার বারান্দা থেকে এক ছাত্রী নীচে পড়ে যায়। সেসময় নীচে চারজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল। ওই চার জনের মধ্যে একজনকে ছাত্রীটির প্রেমিক বলে স্কুলের শিক্ষক থেকে ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই জানে। স্কুলের মধ্যেই আড়ালে আবডালে দু’জনকে বিভিন্ন সময়ে কথাবার্তা বলতে দেখে শিক্ষকরা তাদের সতর্কও করেছেন। স্কুলে প্রীতিভোজ চলায় প্রতিটি ক্লাসরুম বন্ধ রাখা হয়েছিল। কোনও ক্লাসরুমে যাতে অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে সেজন্যই কর্তৃপক্ষ বন্ধ রেখেছিল।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির প্রেমিক সম্প্রতি অন্য একটি মেয়ের ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ায় দুজনের মধ্যে মন কষাকষি শুরু হয়। সেদিন স্কুলেও বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় তাদের মধ্যে। তারপরই ছাত্রটি দোতলা থেকে গট গট করে নীচে নেমে যায়। তখনই ছাত্রীটি বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয়। স্কুলের বারান্দায় কোমর সমান উঁচু দেওয়াল আছে। ইচ্ছাকৃতভাবে ঝাঁপ না দিলে সেখান থেকে পড়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রীটির বয়ান নথিভুক্ত করা হয়। স্কুলে প্রীতিভোজের দিনে এরকম একটি ঘটনায় হতবাক শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
টিআইসি সত্যরঞ্জনবাবু বলেন, এখন যা পরিস্থিতি স্কুলে প্রীতিভোজও করা রাখা যাবে না। আমরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের একসঙ্গে বসিয়ে খাওয়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখনই এই ঘটনা ঘটে যায়। খাওয়া দাওয়া ফেলে সকলে ছাত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই। ওই ছাত্রীর সঙ্গে ক্লাসেরই এক ছাত্র গল্পগুজব করত। আমরা কয়েকবার সতর্ক করেছি। ছাত্রীটি কীভাবে পড়ল এটা আমাদের কাছে ধোঁয়াশা।