হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামবাটি এলাকায় খড়ের ওই কুঁড়ে ঘরে দুই দম্পতি থাকতেন। ওই রাতে সেই কুঁড়ে ঘরে আচমকা আগুন লেগে যায়। কুঁড়ে ঘরে তখন ঘুমাচ্ছিলেন আশাদেবী। কিন্তু, তিনি আগুন টের পাননি। পাশের ঘরে থাকা দম্পতি অবশ্য কোনওভাবে বেরিয়ে আসেন। তারপর স্থানীয় বাসিন্দারা এসে জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। সেই সময় দগ্ধ অবস্থাতেই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে গোঘাট থানার পুলিস সেখানে যায়। পাশাপাশি আরামবাগ থেকে দমকল বাহিনীও যায়। পুলিস জানিয়েছে, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মৃতার স্বামী যদু বাউরি বলেন, দিন কয়েক আগে আমরা চাষের কাজে এখানে এসেছি। ওই রাতে গ্রামে একটি অনুষ্ঠান হচ্ছিল। সেখানেই অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলাম। তারমাঝে এমন ঘটনা ঘটেছে। সম্ভবত মশা মারার ধূপ থেকে আগুন লেগেছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা পার্থ নাগ বলেন, ওই পরিবারগুলি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এলাকায় চাষের কাজ করতে আসছেন। এখন বোরো চাষের সময়ও ধান রোয়ার কাজে এসেছিলেন। আগুন লাগার পর কুঁড়ে ঘরে থাকা অন্য দম্পতি আতঙ্কে বেরিয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের ডাকতে এসেছিলেন। সেই সময় ওই মহিলা দগ্ধ হন। আমরা পরিবারটির পাশে রয়েছি। এদিন ময়নাতদন্ত হয়নি।
গোঘাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিজয় রায় বলেন, বাঁকুড়া থেকে ওই পরিবারটি এসেছিল। প্রশাসন পরিবারটির পাশে আছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই পরিবারটি প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে চাষের কাজে গোঘাটের বিভিন্ন এলাকায় আসছেন। গত সপ্তাহে শ্যামবাটিতে তাঁরা আসেন। সেখানে খড়, বাঁশ দিয়ে কুঁড়েঘরটি তৈরি করা হয়। দগ্ধ কুঁড়েঘর। -নিজস্ব চিত্র