গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভগবানপুরের নন্দীচক ব্রিজ থেকে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দুর সমর্থনে র্যালি শুরু হয়। বিজেপির অভিযোগ, র্যালি আড়গোয়াল এলাকায় প্রবেশ করলে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী সহ নেতাদের কালো পতাকা দেখানো হয়। গো-ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। পাল্টা বিজেপির নেতা-কর্মীরা ‘চোর চোর’ স্লোগান দেন। এনিয়ে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। র্যালি কালীরবাজার মনসাতলার দিকে এগলে বোমাবাজি করা হয়। কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এর প্রতিবাদে বিজেপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির লোকজন আড়গোয়ালের মনসাতলা এলাকায় বোমাবাজি করে। মনসাতলা এলাকায় দলীয় কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর ও মোবাইল লুট করে। মথুরা এলাকায় এক কর্মীর বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করে। এক কর্মীর বাইক ভাঙচুর করা হয়। কাখুরিয়ায় পার্টি অফিসে ঢুকে দু’জন তৃণমূল কর্মীকে মারধর করে। শেষে চকরসুলে দলীয় পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়। লুটপাট করে। জখম দুই কর্মীকে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র অপরেশ সাঁতরা বলেন, তৃণমূল কোনও হামলা কিংবা বোমাবাজির সঙ্গে যুক্ত নয়। বিজেপি প্রথমে বোমাবাজি ও হামলা শুরু করে। আদি ও নব্যের দ্বন্দ্বে জর্জরিত বিজেপি। র্যালি চলাকালীন সেই কারণে গণ্ডগোল হয়েছে। পুলিসের সামনেই ঘটনাগুলি ঘটে। আমরা এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পুলিসকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছি। পুলিস যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে গণতান্ত্রিকভাবে আমরা আন্দোলনে নামব।
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, পরিকল্পনামাফিক বোমাবাজি করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আসলে নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে তৃণমূল ততই পায়ের তলায় মাটি হারিয়ে ফেলছে। তাই তারা সন্ত্রাসের রাস্তা বেছে নিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কোনওভাবেই যুক্ত নয়। আসলে বোমাবাজির ঘটনা ধামাচাপা দিতে নতুন করে নাটক শুরু করেছে তৃণমূল। নিজেদের দলীয় অফিস ভাঙচুর-লুটপাট করে বিজেপির উপর চাপাচ্ছে।
এগরা মহকুমা পুলিস আধিকারিক দেবীদয়াল কুণ্ডু বলেন, পুলিস পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিসি মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।