কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
জেল সুপার নভীন কুজুর বলেন, আদালতের নির্দেশের বিষয়ে জানা নেই। তবে জেলে আসার আগেই ওই বন্দি মার খেতে পারে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। জানা গিয়েছে, শনিবার জামালপুর থানার চক্ষণজাদি গ্রামে ৯ বছরের এক নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগে পুলিস মিন্টু দে-কে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো অ্যাক্টে মামলা রুজু হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মিন্টুর মুদিখানা দোকান আছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ ৯ বছরের ওই বালিকা তার দোকানে শ্যাম্পু কিনতে যায়। নাবালিকার বাবার অভিযোগ, সেই সময় লজেন্স দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দোকানের ভিতরে নিয়ে গিয়ে তাঁর মেয়ের শ্লীলতাহানি করে মিন্টু। রবিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে সোমবার ধৃতকে পকসো আদালতে পেশের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। সেইমতো এদিন তাকে পকসো আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে তার আইনজীবী পিটিশন দাখিল করে বলেন, রবিবার রাত ৮টা নাগাদ তাকে সেল থেকে বের করে আনা হয়। এরপর বিবস্ত্র করে ৫-৬ জন জেল পুলিস লোহার রড ও লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক পেটায়। এমনকী তার গোপনাঙ্গে লাথি মারা হয়। বিচারাধীন অবস্থায় বন্দিকে জেল পুলিসের মারের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিচারক। ভরা আদালত কক্ষে ধৃত তার চোটের জায়গাগুলি বিচারককে দেখায়।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এটা হায়দরাবাদ কাণ্ডের জের। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। আগে মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নিত। আর এখন আইনের রক্ষকরাই বিচার নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছেন। এটা দেশের বিচার ব্যবস্থার পক্ষে অত্যন্ত উদ্বেগজনক।