কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
তাঁরা বলেন, একটা বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানের মেনুতে বেশিরভাগ খাবারের আইটেমেই পেঁয়াজের ব্যবহার হয়ে থাকে। শান্তিপুরের ক্যাটারিং ব্যবসায়ী সঞ্জীব প্রামাণিক বলেন, ৩০০ লোকের বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে কম করে ২৫-৩০ কেজি পেঁয়াজ লাগে। আমরা যখন অর্ডার ধরি তখন পেঁয়াজের দাম কম ছিল। এখন পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্লেটের দাম বাড়াতে গেলে পার্টি রাজি আর হচ্ছে না।
মেনুর আইটেম পরিবর্তন করতে গেলেও রাজি হচ্ছেন না কেউ। ফলে অর্ডার নেওয়া কাজ আমাদের বাধ্য হয়ে পুরনো রেটে করতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে লাভের পরিমাণ কমে যাচ্ছে অনেকটাই। তবু আমাদের কিছু করার নেই। পেটের দায়ে কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। ১৫০ ছুঁই ছুঁই পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চিন্তিত ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলেই। ক্রেতাদের অভিযোগ, একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য পেঁয়াজের দাম কমছে না। ক্রেতাদের সঙ্গে সঙ্গে সমস্যায় পড়েছেন বিক্রেতারাও। পেঁয়াজের দাম বাড়ার ফলে বিক্রি কমে যাওয়ায় পাইকারি থেকে খুচরা বিক্রেতাদের মাথায় হাত পড়েছে। আগে যে ব্যবসায়ী এক মণ পেঁয়াজ প্রতিদিন বিক্রি করতেন। তিনি এখন ১০-১৫ কেজির বেশি পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন না। পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে গেলেও ক্রেতারা খুশি হচ্ছেন না। ফলে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সমস্যায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ক্যাটারিংয়ের মতো ফাস্টফুডের দোকানগুলিতেও পেঁয়াজের দাম বাড়ার ফলে সমস্যায় পড়েছেন ফাস্টফুডের দোকানের ব্যবসায়ীরা। এই দোকানগুলিতে বিভিন্ন ধরনের কাটলেট, পকোড়া, রোল, চাউমিন তৈরি হয়। আর সেগুলি তৈরি করতে সবকিছুতেই দরকার হয় পেঁয়াজের। দাম বাড়ার কারণে সেখানেও বাধ্য হয়ে কমিয়ে দিতে হয়েছে পেঁয়াজের ব্যবহার। বাদকুল্লার ফাস্টফুড দোকানের ব্যবসায়ী সমীর জানা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি। আগে যেখানে আমার ব্যবসায় ১০ কেজি পেঁয়াজ লাগত, এখন সেটা কমিয়ে ৫ কেজি পেঁয়াজ ব্যবহার করছি। কারণ, আমরা জিনিসের দাম বাড়াতে পারছি না। আবার বাঁধাকপির মতো কিছু জিনিস মিশিয়ে পেঁয়াজ বলেও চালাতে পারি না। কারণ, এলাকার মানুষদের নিয়ে আমি দীর্ঘদিন ধরে সততার সঙ্গে ব্যবসা করে আসছি। ফলে ব্যবসা চালাতে সমস্যা হচ্ছে। অন্যদিকে, অধিকাংশ খাওয়ার হোটেলগুলিতেও দুপুর ও রাতের খাবারের সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন হোটেল মালিকরা। রান্নাতেও কমানো হয়েছে পেঁয়াজের ব্যবহার। রানাঘাটের হোটেল ব্যবসায়ী পঙ্কজ পাল বলেন, রান্নাতে পেঁয়াজের ব্যবহার কমানো বা স্যালাডের সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ দেওয়ার পরিমাণ কমানোর কারণে ক্রেতারা অখুশি হচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু আমাদের কিছু করার থাকছে না। আমরা খাবারের মান বজায় রেখে কোনওরকমে বিষয়টা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। এভাবে আর কতদিন ব্যবসা করতে হবে জানি না।