মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে দলীয় অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে আলমপুর গ্রামে আদিবাসী পাড়ার সামনে নৃশংসভাবে খুন হন তৃণমূল কর্মী অনিল মাঝি। পরদিন অর্থাৎ বুধবার সকালে রাস্তার ডানদিকের একটি পুকুর থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাঁ দিকের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল তাঁর বাইক। বুধবার বিকেলেই পুলিস কৃষ্ণ হাঁসদা নামে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। সে ১০ দিনের পুলিস হেফাজতে রয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত কৃষ্ণ পুলিসি জেরায় জানিয়েছে, সে একাই খুনে করেছে। মৃত্যু নিশ্চিত করতেই এলোপাথাড়ি আঘাত করেছিল। মাথার ঘিলু বের হওয়ার পর মৃতদেহ টেনে নিয়ে গিয়ে সে পুকুরে ফেলে দেয়। খুনের দিন থেকে পুলিস অনিলবাবুর মোবাইল ফোনটির খোঁজ করছিল। কারণ, তা থেকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে দাবি পুলিসের। জেরায় কৃষ্ণ জানায়, সে যে পুকুরে মৃতদেহ ফেলেছিল, তার পাশের একটি ছোট পুকুরে মোবাইল ফোনটি ফেলেছে। এদিন সকালে ধৃত কৃষ্ণকে নিয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারপর পুনর্নির্মাণ শুরু করে পুলিস। বর্ধমান সদর (দক্ষিণ) মহকুমা পুলিস আধিকারিক আমিনুল ইসলাম খান, সিআই (সদর-সি) সঞ্জয় কুণ্ডু সহ পুলিস অফিসারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি, রাজ্যের ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ডাঃ চিত্রাক্ষ সরকার সহ ফরেন্সিক দলের প্রতিনিধিরাও পুনর্নির্মাণে উপস্থিত ছিলেন। কৃষ্ণ যে পুকুরে মোবাইল ফোনটি ফেলেছিল, সে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিসকে দেখায়। পুকুরের জল সম্পূর্ণ তুলে ফেলে মোবাইলটি উদ্ধার হয়।
বর্ধমান সদর (দক্ষিণ) মহকুমা পুলিস আধিকারিক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমরা খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছি। মৃতের মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তার তদন্ত চলছে। মোট সাতজনের নামে এফআইআর আছে। আমরা তদন্ত চালাচ্ছি। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্যের ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ডাঃ চিত্রাক্ষ সরকার সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, নমুনা সংগ্রহ এবং পুনর্নির্মাণের জন্য এসেছিলাম। ঘুরে দেখেছি। রক্তের নমুনা, মাটির নমুনা সহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছি। বাইকটিও খতিয়ে দেখা হয়েছে। মৃতের ময়নাতদন্তের রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হবে। তারপরই ফাইনাল রিপোর্ট তৈরি করে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী এজেন্সিকে দেওয়া হবে।