হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন বর্তমান বিজেপি সাংসদের ভুমিকা নিয়েও। তিনি দুবারের সাংসদ। তাও কেন এই কাজ শেষ করতে উদ্যোগ নিলেন না! এপ্রসঙ্গে উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর দাবি, আমিও এই স্টেডিয়াম মাঠে পা রেখেছি। কিন্তু কিভাবে কারা কাজ করছে, আমি পুরোপুরি অন্ধকারে। মানুষ আমাকে জানালে কেন্দ্রীয়ভাবে বরাদ্দ আনার চেষ্টা করব। কিন্তু সব স্তরেইতো তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা রয়েছেন। সেখানে বিধায়কও তৃণমূলের। তারা কি করছেন। এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তাদেরও দায়িত্ব নয় কি?
এলাকার ক্রীড়া সংস্কৃতির উন্নতি সাধনের জন্য তৎকালীন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জ লোকসভার সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সী চাঁচল সদরে স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেন। তারপর এই কাজে হাত লাগান উত্তর মালদহের তৎকালীন সাংসদ মৌসম নুর এবং স্থানীয় বিধায়ক আসিফ মেবহবুব। ২০১১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে অসম্পূর্ণ স্টেডিয়াম উদ্বোধন করেন সাংসদ। কিন্তু সেই উদ্বোধনের দেড় দশক হতে চললেও স্টেডিয়ামের বাকি কাজ হয়নি।
অসম্পূর্ণ স্টেডিয়াম পড়ে থাকতে দেখে ক্ষোভ জন্মেছে স্থানীয়দের মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর ইসলামের কথায়, এই স্টেডিয়ামে বড় টুর্নামেন্ট হয় না। স্টেডিয়ামটি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়বাবু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এখন কোনও জনপ্রতিনিধিই অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করতে উদ্যোগ নিচ্ছেন না। আমরা হতাশ। কাজি আতাউর রহমান নামে আরএক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, প্রিয়বাবুর স্বপ্ন ছিল চাঁচলে বড় স্টেডিয়াম হবে। তিনি অসুস্থ হওয়ার পর থেকে আর কাজ হয়নি। পুরনো গ্যালারির যা দশা, তা দেখে পরিত্যাক্ত বলেই মনে হয়। এদিকে বিজেপি সাংসদের উদ্দেশ্যে পাল্টা চাঁচলের তৃণমূলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, মানুষ না বললেও আমরা নিজের চোখে দেখে কাজ করি। দু›বারের সাংসদের সেই স্টেডিয়াম চোখে পড়েনি। আমরাই স্টেডিয়ামের কাজ সম্পূর্ণ করব। চাঁচল স্টেডিয়াম-নিজস্ব চিত্র