হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
মানিকচক চক্রের অন্তর্গত কাকরিবাধা বাণীস্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সহ পাঁচ শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। এদিন স্কুলের সামনে গেলে দেখা যায়, ১১টা বেজে গেলেও কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা আসেননি। গেটের বাইরে তালা ঝুলছে। একঝাঁক ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবক প্রধান গেটের সামনে বিদ্যালয় খোলার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে। শিক্ষকদের এহেন কর্মকাণ্ড দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিভাবকরাও।
স্কুলের সহকারী শিক্ষক সুপ্রকাশ মণ্ডল নির্ধারিত সময়ের পর স্কুলে আসেন। তালা খুলে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে প্রবেশ করান। এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সমস্ত প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শুধু বলেন, প্রধান শিক্ষক ছুটিতে। তাঁর বাড়ি থেকে স্কুলের চাবি আনতে গিয়ে দেরি হওয়ায় এই সমস্যা। অন্য দিন সময়েই স্কুল খোলা হয়। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক জীতেন মাঝিকে ফোন করা হলে বলেন, অসুস্থতার কারণে ছুটিতে রয়েছি। তাই এদিনের ঘটনা জানি না। স্কুলের গেটে পড়ুয়ারা দাঁড়িয়ে থাকার খবর কানে যেতেই পরিদর্শনে আসেন মানিকচক চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মহম্মদ পারভেজ। সেখানে গিয়ে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। বিভিন্ন অনিয়ম এবং কারচুপির ছবি তাঁর নজরে পড়েছে। তিনি বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক জীতেন মাঝি এবং সহকারী শিক্ষিকা রুমকি বসাক ছুটিতে রয়েছেন, এমন খবর আমার কাছে নেই। তবে অন্য তিনজন শিক্ষক শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন। মিড ডে মিলে আজ ডিম ভাত দেওয়ার কথা থাকলেও শিশুদের নিরামিষ দেওয়া হয়েছে। ৫৫ জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত থাকলেও মিড ডে মিলে ১৫৫ জন দেখানো হয়েছে। এসব অনিয়মের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে শোকজ করা হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। স্কুলের গেটে তালা। অপেক্ষায় পড়ুয়ারা। - নিজস্ব চিত্র।