হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
এদিন সকালে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলি ঘুরে দেখেন পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর ও বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। বিধায়ক ও পুর চেয়ারম্যান জানান, তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে আছেন।
মঙ্গলবার রাতে দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা বাড়ি চলে যান। সেই সময় হঠাৎই আগুনের লেলিহান শিখা নজরে আসে স্থানীয়দের। মুহূর্তের মধ্যে আগুনে ফার্নিচার, কম্পিউটার, প্রসাধনী ও কাপড় সহ পর পর আটটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ব্যবসায়ী সমীর কুণ্ডুর ইলেক্ট্রিকের দোকান সহ বাড়িও পুড়ে যায়। পরে আলিপুরদুয়ার থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ নিউটাউন এলাকায় রাস্তার পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে হঠাৎ আগুন ধরে। সেই আগুনের ফুলকি থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান তাঁদের। অবশ্য বিদ্যুৎ দপ্তরে বিষয়টি জানানো হলে দশ মিনিটের মধ্যেই কর্মীরা এসে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। দ্রুত বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করলে আগুন আরও ভয়াবহ আকার নিত বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির আলিপুরদুয়ারের রিজিওনাল ম্যানেজার পার্থপ্রতিম মণ্ডল বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তারের আগুনের ফুলকি সম্ভবত একটি দোকানের উপর পড়েছিল। সেখান থেকেই অন্যান্য দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থলে মজুত জলের ব্যবস্থা না থাকায় দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার রাতুল বিশ্বাস বলেন, শহরের ঝিলগুলি জবরদখল হয়ে যাওয়াতেই মজুত জলের অভাবে আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। আলিপুরদুয়ার দমকল কেন্দ্রের ওসি ভাস্কর রায় বলেন, আশেপাশে মজুত জলের ব্যবস্থা না থাকাতে আগুন নেভাতে হিমশিম অবস্থায় পড়তে হয়েছে।
এদিকে, আগুনে সর্বস্ব খুঁইয়ে ভেঙে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। নিউটাউন ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তাপস সিংহ বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আমাদের প্রায় এক কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। এখন সংসার চলবে কীভাবে বুঝতে পারছি না। সাহায্যের জন্য আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। পুড়ে গিয়েছে দোকান। - নিজস্ব চিত্র।