হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের তরফে কয়েকদিন আগে যে ছাতু দেওয়া হয়েছে, তা তেতো। মুখে দেওয়া যাচ্ছে না। এদিন অনেকে আইসিডিএস সেন্টারে নিয়ে এসে প্যাকেটজাত ওই ছাতু মাটিতে ফেলে নষ্ট করে দেন। কেউ কেউ আবার তা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে ফেরত দিয়ে নতুন করে ভালো ছাতু দেওয়ার দাবি জানান। কেন এমন ছাতু দেওয়া হল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে।
ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী শেফালি রায় অধিকারী বলেন, ছাতুর গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে এদিন বাসিন্দারা আইসিডিএস সেন্টারে এসে বিক্ষোভ দেখান। বিষয়টি সুপারভাইজারকে জানানো হয়েছে। তাঁর দাবি, গত শুক্রবার ১১০ প্যাকেট ছাতু এসেছে। ছ’মাস থেকে ছ’বছর বয়সের শিশুদের খাওয়ার জন্য ওই ছাতু বিলি করা হয়। ছাতুর প্যাকেটের গায়ে ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট লেখা রয়েছে ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর। প্যাকেটের গায়ে লেখা আছে, প্যাকেটজাত হওয়ার সময় থেকে ১২০ দিন পর্যন্ত ওই ছাতু খাওয়া যাবে। ফলে এখনও প্যাকেটজাত ওই ছাতুর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়নি। কিন্তু বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই ছাতু নাকি এতটাই তেতো লাগছে যে, খাওয়া যাচ্ছে না। তাঁরা নতুন ছাতু দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি প্রশাসনকে বলা হবে। সেখান থেকে যেমন নির্দেশ দেওয়া হবে, সেইমতো পদক্ষেপ করব।
নগর বেরুবাড়ি জমাদারপাড়া ৬৭ নম্বর আইসিডিএস সেন্টারে বর্তমানে শিশুর সংখ্যা ৫৫। কর্মী ছাড়াও সহায়িকা রয়েছেন মিনু রায় নামে একজন। কিন্তু ওই অঙ্গনওয়াড়ির পরিকাঠামো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ রয়েছে বাসিন্দাদের। তাঁদের বক্তব্য, সেন্টারে একটিমাত্র ঘর। তার ভিতর এত শিশুকে নিয়ে পড়াশোনা করানোর মতো পরিস্থিতি নেই। বারবার আইসিডিএস সেন্টারটির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা আলম ইসলাম বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি থেকে খারাপ ছাতু বিলি করা হয়েছে, এই অভিযোগে বাসিন্দারা এদিন বিক্ষোভ দেখান। বিষয়টি প্রশাসনের খতিয়ে দেখা উচিত। একইসঙ্গে ওই আইসিডিএস সেন্টারের পরিকাঠামোর দিকটিও ভেবে দেখা দরকার প্রশাসনের। রাস্তার পাশে চলা ওই অঙ্গনওয়াড়ির পরিকাঠামোর যে ঘাটতি রয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই সেন্টারের খোদ কর্মী। নিজস্ব চিত্র।