হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
গত অক্টোবর মাসে জলপাইগুড়িতে গজলডোবার কাছে দুধিয়া গ্রামে ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক হাতিকে মারা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে বনদপ্তর সন্দেহজনক দু’জনের নাম পায়। কিন্তু ঘটনার পরই পালিয়ে যায় তারা। পরে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে আদালত থেকে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। মঙ্গলবার ফেরার দু’জনের মধ্যে বাবুলালকে গ্রেপ্তার করে বনদপ্তরের বেলাকোবা রেঞ্জ। বুধবার দুপুরে তাকে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে দু’দিন নিজেদের হেফাজতে চায় বনদপ্তর। আদালত তা মঞ্জুর করে।
বৈকুণ্ঠপুরের ডিএফও এম রাজা বলেন, ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে হাতিকে মারার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে ধৃতকে দু’দিনের হেফাজতে পাওয়া গিয়েছে। তাকে জেরা করে পলাতক আরও একজনের খোঁজে তল্লাশি চালাব আমরা। প্রাথমিকভাবে ধৃত ব্যক্তি স্বীকার করেছে, জমির ফসল বাঁচাতে সে এবং তার ভাই মিলে জমিতে অবৈধভাবে বৈদ্যুতিক ফেন্সিং দিয়েছিল। ফেন্সিংয়ের সংস্পর্শে এসেই হাতিটির মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছি আমরা।
এদিন আদালত চত্বরে প্রশ্নের উত্তরে ধৃত বাবুলাল বলে, আমার দু’বিঘা জমি রয়েছে। আমার সঙ্গেই রয়েছে ভাইয়ের জমি। দু’জনের জমিতেই ধান ছিল। হাতির হানা থেকে ওই ধান বাঁচাতেই ইলেক্ট্রিক ফেন্সিং দেওয়া হয়েছিল। যদিও তার দাবি, আমি নই, ভাই ওই ফেন্সিং দেয়। ওর বাড়ি থেকেই বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছিল। ভাই কোথায় পালিয়ে আছে, সে জানে না বলে জানায়।
আদালতে তোলার আগে বাবুলাল মণ্ডল। - নিজস্ব চিত্র।