হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
এবারই প্রথম শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের মেলা গ্রাউন্ডে আঞ্চলিক সৃষ্টিশ্রী মেলা পরিচালনা করে আনন্দধারা প্রকল্পের জেলা মিশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট। ২১ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলে। তাতে রাজ্যের ১৫টি জেলার স্বনির্ভরগোষ্ঠীর মহিলারা অংশ নেন। মেলায় ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে তিনটি ক্যাটাগুড়িতে আটটি পণ্যকে পুরস্কৃত করে প্রশাসন।
মিশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট সূত্রে জানা গিয়েছে, সাতদিনের মেলায় মোট স্টল ছিল ১০৪টি। যারমধ্যে ৭৬টি স্থায়ী ও ১৪টি শেডহীন স্টল। ১৪টি ছিল ফুড কোর্ট। উচ্চমূল্যের দ্রব্য ক্যাটাগুড়িতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তুলাইপাঞ্জি চালের চাহিদা ছিল সর্বাধিক। এজন্য সংশ্লিষ্ট জেলাকে প্রথম, রেডিমেড পোশাকের জন্য শিলিগুড়ি দ্বিতীয় এবং উত্তর ২৪ পরগনার পাথর-চূর্ণি দিয়ে তৈরি ঘর সাজানোর উপকরণ তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে। কম মূল্যের দ্রব্যের ক্যাটাগুরিতে উত্তর ২৪ পরগনার হাতে তৈরি পারফিউম প্রথম, সংশ্লিষ্ট জেলার ঝিনুকের তৈরি উপকরণ দ্বিতীয় এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাঁশের তৈরি উপকরণ তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
এর বাইরে ফুড কোর্টে প্রথম শিলিগুড়ির একটি স্বনির্ভরগোষ্ঠী। সেখানে কেক, পিঠে থেকে চিকেনের বিভিন্ন পদ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করেছে। জলপাইগুড়ির একটি গোষ্ঠীর গুলাবি চা নজর কেড়েছে। এজন্য সেটিকে দ্বিতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আনন্দধারা প্রকল্পের অতিরিক্ত জেলা মিশন অধিকর্তা বলেন, পুরস্কার প্রাপক সমস্ত গোষ্ঠীকে সম্মান জানানো হয়েছে। এছাড়া ফাঁসিদেওয়ার ঘোষপুকুরের এক মহিলার আর্ট ভিজিটরদের প্রশংসা পেয়েছে। এজন্য ওই মহিলাকে বিশেষ সম্মান জানানো হয়েছে। মেলায় ব্যবসা হয়েছে ১ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা।
প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে উচ্ছ্বসিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তাঁদের একাংশের বক্তব্য, প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর মেলা ময়দান ছিল ভিড়ে জমজমাট। আর দুই-তিনদিন মেলা চললে ব্যবসা আরও ভালো হতো।