হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
প্রতারিত হয়েছে, বুঝতে পেরেই অবশেষে বুধবার বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ওই মহিলা। ওই মহিলার এমন কাণ্ড দেখে অবাক পুলিস কর্তারাও। তবে তড়িঘড়ি সাইবার থানার পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। যে অ্যাকাউন্টগুলিতে টাকা পাঠানো হয়েছে, সেগুলি ফ্রিজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস।
বালুরঘাট সদর ডিএসপি হেডকোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ বলেন, এক মহিলা ভয় পেয়ে ৪০ টাকা সাইবার প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছেন। আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
পুলিস সূত্রে খবর, বালুরঘাট শহরের ওই মহিলার নামে রেশন দোকান রয়েছে। তাঁর স্বামী অসুস্থ। গত ১০ জানুয়ারি ওই মহিলার মোবাইলে ফোন আসে। এরপর হোয়াইটস অ্যাপে ভুয়ো টেলিকম অথরিটির অফিসার সেজে পরিচয় দেওয়া হয়। ভিডিও কলে ভুয়ো আইকার্ডও দেখানো হয়। এরপর বলা হয়, ওই মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল অ্যারেস্টের ভয় দেখানো হয় ওই মহিলা রেশন ডিলারকে।
প্রতারিত ওই মহিলা বলেন, ফোনের ওপার থেকে বলা হয়, লোকাল থানার পুলিস দ্রুত আমাকে গ্রেপ্তার করতে আসছে। টাকা দিলে এই গ্রেপ্তারি এড়ানো যাবে। প্রতারকরা ভিডিও কলে একাধিক নম্বর থেকে কল করে ভয় দেখায় ওই মহিলাকে। তার মধ্যে একটি বিদেশি নম্বরও রয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ধাপে ধাপে ৬-৭ বার টাকা পাঠান ওই মহিলা। জমানো অর্থ শেষ হতেই জীবন বিমার টাকাও ভাঙানো হয়। ঘনঘন বিমার টাকা তোলায় সন্দেহ হয় বিমা কোম্পানির অফিসারদের। তাঁরা ওই মহিলার কাছে টাকা তোলার কারণ জানতে চান। তারপরই বেরিয়ে আসে প্রতারণার বিষয়টি। বিমা কোম্পানির অফিসারদের পরামর্শেই অবশেষে সাইবার ক্রাইম থানার দারস্থ হন ওই মহিলা। যদিও এদিন ওই মহিলা সংবাদমাধ্যমে কিছু বলতে চাননি। তবে পুলিস মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
ডিজিটাল অ্যারেস্টের ভয় দেখিয়ে টাকা হাতানোর বিষয়টি নতুন নয়। সাইবার প্রতারকরা এখন নানাভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গত বছর বালুরঘাটে একাধিক সরকারি অফিসে এমন ভুয়ো গ্রেপ্তারির নোটিস আসতে শুরু করে। কখনও সিবিআই, আবার কখনও ইডির ভয় দেখানো হয়। এনিয়ে গতবছর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়। এবারে ফের ডিজিটাল অ্যারেস্টের ভয় দেখিয়ে ৪০ লক্ষ টাকা আদায় করল প্রতারকরা। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।