শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুর জেলায় ন’টি আসনের মধ্যে কালিয়াগঞ্জ ও রায়গঞ্জ, এই দু’টি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে জয়লাভ করেন বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরী। তিনি এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য। ফলে লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিধানসভায় জেলায় বিজেপির ফল ভালো হবে, এমনটা আশা করেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বিধানসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে সৌমেন রায়ের নাম ঘোষণার পরই দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আসে।
বহিরাগত হিসেবে তাঁকে প্রাথমিকভাবে মানতে পারেননি স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে। সৌমেনবাবুর নির্বাচনী প্রচারে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সৌমেনবাবু ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। গতবারের তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়ী প্রার্থী তপন দেবসিংহকে ২১ হাজার ৮২০ ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত করেন। বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৬৮ , অন্যদিকে তপন দেবসিংহর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৪ হাজার ৯৪৮।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতে। ওই দিন রাতে আচমকা বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফ্ট হয়ে যান বিধায়ক সৌমেন রায়। বিষয়টি গ্রুপের অন্যান্য সদস্যের নজরে আসামাত্র জল্পনা শুরু হয়ে যায়। কী কারণে তিনি দলের জেলা সভাপতির তৈরি করা গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গেলেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, সৌমেনবাবুর তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টি মিথ্যা। মায়ের অসুস্থতার কারণে তিনি ফালাকাটায় গিয়েছেন। সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সেকারণেই তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না। তিনি শীঘ্রই তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে এসে পৌঁছবেন এবং নিয়মমাফিক কাজকর্ম করবেন। এনিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে তিনি কেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তা জানতে চাইব। ভুল করেও এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তাছাড়া এখন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ছড়াছড়ি। অনেকে নিজেকে কিছুটা দূরত্বে সরিয়ে রাখতেই পারেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। তাছাড়া মায়ের অসুস্থতার কারণেও তিনি কিছুটা চিন্তিত। অনুমানের ভিত্তিতে কোনও মন্তব্য করা ঠিক নয়। এব্যাপারে বিধায়ক সৌমেনবাবু বলেন, মায়ের অসুস্থতার কারণে ফালাকাটায় রয়েছি। দু’একদিনের মধ্যেই কালিয়াগঞ্জে যাব। এ ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। অন্যদিকে, তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, জল্পনা কল্পনার উপর ভিত্তি করে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।
তবে গোটা ঘটনায় উত্তর দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহলের ধারণা, মুকুল রায়ের সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রয়েছে সৌমেন রায়ের। মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করার পর তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন। এখন মুকুলবাবু তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ফলে তিনি হয়তো জোড়া ফুলের দিকেই পা বাড়িয়েছেন বলে অনুমান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।