আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
হরিশ্চন্দ্রপুর-১’র বিএমওএইচ অমলকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, প্রতিটি আবাসনই বেহাল হয়ে আছে। আমরা সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বরাদ্দ এলেই ওসব সংস্কার করা হবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, আবাসন সংস্কার সহ অন্যান্য সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত সমস্যা মিটবে বলেই আমরা আশাবাদী। তবে চিকিত্সক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা কেউ এব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি।
মালদহ জেলা পরিষদের নারী, শিশু ও জনকল্যাণ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মর্জিনা খাতুন বলেন, হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতেলের আবাসনগুলির জরাজীর্ণ অবস্থা আমি নিজে দেখে এসেছি। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সরা সেখানে থাকছেন। আবাসনগুলির সংস্কার করা জরুরি। এই বিষয়টি আমি জেলা পরিষদের বোর্ড সভায় উত্থাপন করব।
ব্লক স্বাস্থ্যপদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামীণ হাসপাতালের পাশেই ১১টি আবাসন আছে। এর মধ্যে ছ’টিতে চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকেন। বাকি পাঁচটিতে নার্সরা থাকেন। কিন্তু সংস্কারের অভাবে সবক’টি আবাসনেরই জরাজীর্ণ দশা হয়েছে। দূর থেকে দেখলে ওসব পরিত্যক্ত বাড়ি বলেই মনে হয়। ঘরের ভেতরে ও বাইরের দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। মাঝেমধ্যেই ছাদের চাঙর ধসে পড়ে। বেশি বৃষ্টি হলে ছাদে জল দাঁড়িয়ে যায় তখন ছাদ চুঁইয়ে ঘরের ভেতরে জল পড়ে। যদিও বছর তিনেক আগে হাসপাতাল ভবনটি নতুন করা হয়েছে। ঝাঁ চকচকে নতুন ভবনের পাশেই ওসব জীর্ণ বাড়িগুলি রয়েছে। আবাসনের চারপাশে আগাছা ও বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গজিয়ে উঠেছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সদের কাটাতে হচ্ছে। সীমানা পাঁচিল না থাকায় রাতে ঘর ফাঁকা রেখে তাঁরা কোথাও যেতে ভয় পান। কারণ সর্বক্ষণেই চুরির আতঙ্ক গ্রাস করে তাঁদের। আবাসনে আগে একাধিকবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। আবাসিকরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সীমানা পাঁচিলের দাবি জানিয়ে এলেও তা হয়নি। ওই হাসপাতালের পাশেই রয়েছে সেচদপ্তরের পরিত্যক্ত জায়গা। সেখানে কিছুটা জায়গা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা আছে। ওই জায়গায় দিনের বেলাতেও সমাজবিরোধীরা আড্ডা বসায়।