হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ঠিক সেই সময়ই পিওকের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সেনাপ্রধান আসিম মুনির আহমেদ এবং অধিকৃত কাশ্মীরের উজির-এ-আজম চৌধুরি আনোয়ারুল হককে পাশে বসিয়ে তিনি স্লোগান দিয়েছেন, ‘কাশ্মীর বনেগা পাকিস্তান’। একধাপ এগিয়ে পাক সেনাপ্রধান দাবি করেছেন, একদিন পাকিস্তানের অংশ হবে গোটা কাশ্মীর। পাক সেনা কাশ্মীরের ‘স্বাধীনতা’ লড়াইয়ের সঙ্গেই আছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে ভয়াবহ হামলার নেপথ্য কারিগরদের অন্যতম খালিদ। ইরানের রাজধানী তেহরানেই থাকেন তিনি। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চললেও খালিদকে হন্যে হয়ে খুঁজছে ‘মোসাদ’। ঠিক সেই সময় ভারতীয় নিয়ন্ত্রণরেখার অনতিদূরে তাঁর উপস্থিতি এপারের গোয়েন্দাদের কপালেও ভাঁজ ফেলেছে।
গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এবার হামাসকে সঙ্গে নিয়ে এপারে বড়সড় নাশকতার কোনও ছক কষছে পাক জঙ্গিদের সম্মিলিত মঞ্চ ‘তেহরিক-এ-আজাদি কাশ্মীর’। আর তাতে শরিফ সরকার, পাক সেনা এবং আইএসআই-এর সম্পূর্ণ মদত রয়েছে। তাই এদিন রাওয়ালকোটের রাস্তায় লস্কর- জয়েশ জঙ্গিরা ছিল কালাশনিকভ, অ্যাসল্ট রাইফেল এবং খোলা তলোয়ার হাতে। ভারত বিরোধী স্লোগান দিয়ে মিছিলও করেছে তারা। ‘হামাস’কে ইতিমধ্যেই ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে চিহ্নিত করেছে ইজরায়েল, আমেরিকা সহ আরও কয়েকটি দেশ। কিন্তু ভারত এখনও সে পথে হাঁটেনি। যদিও গত বছরের অক্টোবরে তেল আভিভে হামাসের ভয়াবহ আক্রমণের ঘটনাকে ‘অ্যাক্ট অব টেরর’ বলে অভিহিত করেছিল নয়াদিল্লি। তবে এবার ভারতবিরোধী লস্কর, জয়েশের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে হামাসের ‘তৎপরতা’ সামনে আসায় এতদিনের অবস্থান বদলের কথা ভাবছে ভারত সরকার। হামাস কমান্ডারের পাকিস্তান প্রীতি অবশ্য এই প্রথম নয়। প্যালেস্তাইনের হয়ে সমর্থন জোটাতে গত জানুয়ারিতে এক আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করেছিল পাকিস্তান সেনেট। সেই সম্মেলনে আমন্ত্রিত ছিলেন হামাসের মুখপাত্র।
রাওয়ালকোটে তথাকথিত ‘কাশ্মীর সংহতি দিবসে’ এদিনের সভায় হামাসের মুখপাত্র ছাড়াও আর কে কে উপস্থিত ছিল? গোয়েন্দারা জেনেছেন, মঞ্চে ছিল জয়েশের বর্তমান প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই তালহা, আসগর খান কাশ্মিরী, লস্করের কমান্ডার রিজওয়ান হানিফ, মাসুদ ইলিয়াস, সিপাহ-ই-সাহাবার আফতার কাশেরের মতো কট্টর জঙ্গিরা। গোয়েন্দারা জেনেছেন, হামাসের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ‘তেহরিক এ আজাদি কাশ্মীর’-এর তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল লস্করের শাইফুল্লা খালিদকে। সে-ই সম্প্রতি দোহায় গিয়ে বৈঠক করে খালিদ কাদৌমিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসে।