প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
করোনার সংক্রমণ যখন থেকে শুরু হয়েছে, সেই সময় থেকেই এরাজ্যে আধার সংক্রান্ত পরিষেবা বন্ধ করে দেয় রাজ্য সরকার। নতুন করে আধার কার্ডের জন্য আবেদন নেওয়া, কার্ড করানো বা ডেলিভারি সবই বন্ধ ছিল এতদিন। আধার সংক্রান্ত তথ্য পরিবর্তনের কাজও থমকে গিয়েছিল এই পর্বে। লকডাউন কাটিয়ে দেশে আনলক পর্ব শুরু হলেও আধার সংক্রান্ত পরিষেবা শুরু করা যায়নি। অবশেষে তা শুরু হচ্ছে। নবান্ন থেকে এই বিষয়ে জেলাগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ইউনিক আইডেন্টিটি অথরিটি অব ইন্ডিয়ার অধীনে থাকা আধার সেবা কেন্দ্রগুলিতে এই পরিষেবা মিলবে। সল্টলেক সেক্টর ফাইভ, ডালহৌসি এবং মালদহ জেলাশাসকের অফিসে যে সেবাকেন্দ্র আছে, সেখানে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি যে ডাকঘরগুলিতে আধার পরিষেবা আগে দেওয়া হতো, সেসব জায়গাতেও তা চালু হচ্ছে আজ থেকে। ভারতীয় ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল মার্ভিন আলেকজান্ডার জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহ থেকেই তাঁরা সংশ্লিষ্ট ডাকঘরে এই পরিষেবা চালু করছেন।
এদিকে, আধার সংক্রান্ত পরিষেবা দিয়ে থাকে ব্যাঙ্কগুলিও। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের কয়েকটি শাখা নিজেরা এই পরিষেবা দিতে শুরু করলেও, সরকারিভাবে কোনও নির্দেশ এখনও ব্যাঙ্কগুলিকে দেওয়া হয়নি। আধার সংক্রান্ত পরিষেবা দিয়ে থাকে কয়েকটি কমন সার্ভিস সেন্টার। সেখানে আধার কার্ডে নাম, জন্মতারিখ, ঠিকানা, ই-মেল পরিবর্তনের মতো কয়েকটি পরিষেবা পাওয়া যায়। এই কমন সার্ভিস সেন্টারগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের নির্দেশে কাজ করে। সেখানেও এখনই এই পরিষেবা চালু হচ্ছে না।
এদিকে, আধার পরিষেবা চালু হওয়ায় কর্মীরা আতঙ্কে ভুগছেন। যাঁরা পরিষেবা দিয়ে থাকেন, তাঁদের অনেকেরই বক্তব্য, করোনা এখনও বিদায় নেয়নি। বরং সংক্রমণ বাড়ছে। ভ্যাকসিনও বের হয়নি। এই পরিস্থিতিতে যদি পরিষেবা চালু করতে হয়, তাহলে আবেদনকারীদের এতটাই কাছাকাছি আসতে হবে যে, যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। চোখের তারার ছবি তোলা বা আঙুলের ছাপ নেওয়ার মতো কাজগুলি দূর থেকে করা সম্ভব নয়। তাছাড়া যে যন্ত্রের মাধ্যমে এই কাজ করা হয়, সেগুলিকে বারে বারে স্যানিটাইজ করাও কঠিন। যাঁরা আধার সংক্রান্ত কোনও পরিষেবা নিতে আসবেন, তাঁরা আদৌ করোনায় সংক্রামিত কি না, তা যাচাই করার কোনও উপায় নেই। কর্মীদের অভিযোগ, যেখানে চিকিৎসকরা দূরাভাসে বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রোগীদের চিকিৎসা করছেন, যেখানে সরকার বারবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছে, সেখানে কীভাবে আধার সংক্রান্ত পরিষেবা ফের চালু করার মতো ‘হঠকারী’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।