প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ফেরার দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন ছিল। ওই গ্রুপের মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচি জানানো হতো। গ্রুপে মোট ২২জন সদস্য ছিল। দু’জন ছাত্রই গ্রুপে সংগঠনের কর্মসূচি নিয়ে পোস্ট করত। তারা আল-কায়েদার ভার্চুয়াল মাধ্যমের দায়িত্বে ছিল। মালদহে বাড়ি হলেও পড়াশোনা করার নাম করে তারা ডোমকলেই থাকত। দু’জনের খোঁজে এনআইএর আধিকারিকরা নদীয়ার করিমপুর এবং মালদহের বামনগোলা সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু তাদের হদিশ পাওয়া যায়নি।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া এনআইএর নাগালে এসেও অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সংস্থার ডোমকলে অভিযানের আগের দিন তারা ওই এলাকাতেই ছিল। পরের দিন তারা নদীয়ার করিমপুরে যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় এনআইএর অভিযানের খবর পেয়ে দু’জন গা ঢাকা দেয়। তারা নদীয়ার কোনও এলাকায় আত্মগোপন করে থাকতে পারে। তাই নদীয়ার বেশ কয়েকটি এলাকা এনআইএ-র
স্ক্যানারে রয়েছে। তবে মালদহেই বাকিদের থাকার সম্ভাবনা বেশি।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আল-কায়েদার এক শীর্ষনেতা ওই ১১জনকে আড়াই লক্ষ টাকা দ্রুত সংগ্রহ করার দায়িত্ব দিয়েছিল। তারা সেই কাজে নেমেও পড়েছিল। দুই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ফান্ড সংগ্রহ করতেই করিমপুরে গিয়েছিল কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কী কারণে তড়িঘড়ি আড়াই লক্ষ টাকা জোগাড় করতে বলা হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ফেরার থাকা ওই ১১জনই দীর্ঘদিন ধরে আল-কায়েদা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তবে ওই দুই পড়ুয়াই টিমের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। গোয়েন্দারা একটি ল্যাপটপ থেকে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করেছে। সংগঠনের জাল বিস্তার রুখতে তাদের ধরতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছেন আধিকারিকরা।
ডোমকলের নাজমুস সাকিবের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ল্যাপটপ ও একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন থেকেও গোয়েন্দারা বিভিন্ন তথ্য পেয়েছেন। সাকিব এবং তার দুই সহপাঠী মূলত ইন্টারনেটের মাধ্যমে মগজধোলাই করার চেষ্টা করত। একই কাজ করত জলঙ্গির ঘোষপাড়া থেকে ধৃত আরেক জঙ্গি আতিউর রহমানও। তারা সমবয়সিদের সংগঠনে টানার দিকে জোর দিয়েছিল। ফেরার দুই ছাত্র ডোমকল থেকে ধৃত একটি কলেজের ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের অস্থায়ী কর্মী লিউ ইয়ান আহমেদেরও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল। লিউ ইয়ান বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক তৈরির পাঠ নিচ্ছিল। ডোমকলের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া নাজমুস সাকিবের এক আত্মীয় বলেন, লিউইয়ন আমাদের এলাকায় থাকত। তার সঙ্গে নজমুসের বন্ধুত্ব ছিল। এছাড়া কলেজের আরও অনেকের সঙ্গে ওর ভালো সম্পর্ক ছিল। তাদের কয়েকজন বাড়িতেও আসত। তবে তারা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কি না জানা নেই। বেশিরভাগ সময় পড়াশোনা নিয়েই আলোচনা করত। কখনও বিতর্কিত কোন কিছু করতে দেখিনি। তবে ধর্ম নিয়ে চর্চা করত।