হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির আচার্য সমিত রায়ের বার্তা, একথা স্বীকার করতেই হবে, গত কয়েকবছর ধরে বাংলায় বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখানে শ্রমদিবস নষ্ট না-হওয়া এবং আইনশৃঙ্খলার উন্নতি বিনিয়োগকারীদের লগ্নিতে আগ্রহী করেছে। ব্যবসা চালাতে গেলে তার জন্য যথাযথ ইকো-সিস্টেম বা পরিস্থিতি দরকার। এই সম্মেলনে বিদেশি অতিথিরা সেই বিষয়ে আশ্বস্ত হয়েছেন এবং তাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়েছেন। তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলার মেধার যে তুলনা নেই, তা সারা বিশ্ব জানে। এদিন শিল্পমহলও দেখেছে, মেধার উন্নয়নে সত্যিই সহায়ক এই রাজ্য। এই বিশ্বাস অর্জন করা জরুরি ছিল। গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্য সরকার সাফল্যের সঙ্গে সেই কাজ করছে।
আইটিসি লিমিটেডের সিএমডি সঞ্জীব পুরি বলেন, গত ১০ বছরে আমরা এরাজ্যে প্রায় ৭,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। আইটিসি এখানে কারখানা ও ওয়্যারহাউস মিলিয়ে ১৮টি প্রকল্প চালু রেখেছে। আমাদের ছ’টি বিলাসবহুল হোটেল রাজ্যের পর্যটনের চেহারা বদলে দিয়েছে। এই সংখ্যা আগামী দিনে আমরা দ্বিগুণ করব।
অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান হর্ষবর্ধন নেওটিয়া বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে দক্ষতার সঙ্গেই প্রশাসন চলছে, তা নতুন শিল্প আনতে সাহায্য করেছে। ওইসঙ্গে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উৎসাহও, এটা বাড়তি পাওনা। হর্ষবর্ধন নেওটিয়ার কথায়, বাংলার যেমন ভৌগোলিক অবস্থানগত সুবিধা আছে, এখানে তেমনই তৈরি হয়েছে শিল্পবান্ধব পরিবেশ।
আর পি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপের চেয়ারম্যান সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও স্বীকার করেছেন, এখানে এমন এক সুন্দর পরিবেশ তৈরি হয়েছে যে যেকোনও সমস্যার সমাধান হয় মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই। আমরা বাংলায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছি। এর মধ্যে গত একদশকে বিনিয়োগের পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকা। এদিনের শিল্প সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন শিল্পপতি সজ্জন জিন্দাল। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এক ‘পাওয়ার হাউস’। আমি অনেক শিল্প সম্মেলনে গিয়েছি কিন্তু এখানকার মতো উষ্ণ অভ্যর্থনা কোথাও পাইনি।