হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
আগাগোড়াই মমতার সঙ্গে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার চেয়ারম্যানের সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। কিছু মাস আগেই দ্বিতীয়বার জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন হেমন্ত। তার শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মমতা। বিজেপি বিরোধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হেমন্তের বাংলার শিল্প সম্মেলনে যোগ দেওয়া বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলও। তবে এই মঞ্চ থেকে কোনও রাজনৈতিক কথা উঠে আসেনি হেমন্তের গলায়। বরং নিউটাউনের মঞ্চ ব্যবহার করে বাংলার বাণিজ্য সম্মেলনে উপস্থিত শিল্পোদ্যোক্তাদের কাছে ঝাড়খণ্ডে বিনিয়োগের আর্জি জানিয়ে গেলেন হেমন্ত। তাঁকে এই বিশ্ব মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য মমতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে, তিনি বলেন, ‘বাংলা এবং ঝাড়খণ্ডের প্রচুর মিল রয়েছে। ৪০ শতাংশের বেশি খনিজ পদার্থ ঝাড়খণ্ডে পাওয়া যায়। শিল্প সম্ভাবনা থাকা আমাদের রাজ্যে বহু বিনিয়োগ হচ্ছে। কিন্তু আরও কিছু বিনিয়োগ আসলে আমরা অনেকটা এগোতে পারি। এখানে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সকলকে আমাদের রাজ্যে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’ শিল্প সম্মেলনের মঞ্চে রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির কথাও শোনা যায় হেমন্তের গলায়। এতে সার্বিক ভাবে দেশের উন্নয়ন হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। ঝাড়খণ্ডে বিনিয়োগকারীদের সমস্ত রকম সহযোগিতার হাত তাঁর সরকার বাড়িয়ে দেবে বলেও আশ্বাস দেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সন্ধ্যায় সস্ত্রীক হেমন্ত পৌঁছান সায়েন্স সিটির বিপরীতে ঝাড়খণ্ডের বিশেষ প্যাভিলিয়নে। বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে এই প্যাভিলিয়ন তৈরি হয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গেও আলাপচারিতা করতে দেখা যায় দুজনকে। একাধিক উৎসাহী বিনিয়োগকারীদেরও তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যেতে দেখা যায়। এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে রাজ্যের তরফে হেমন্ত সোরেনকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে এবং পরেও হেমন্তের সঙ্গেই ছিলেন সুজিতবাবু। ঘ