হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
এক নিত্যযাত্রী বারাসত থেকে উঠেছিলেন। দমদম ক্যান্টনমেন্টে প্রায় এক ঘণ্টা ট্রেনের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁকে। তিনি বলেন, এক সহযাত্রী তাঁর বৃদ্ধা মাকে এন আর এস হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ভরদুপুরে কামরার গুমোট গরমে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে বৃদ্ধা আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রায় ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে বিপর্যস্ত অবস্থা হয় কামরার প্রত্যেক যাত্রীর। রেল সূত্রে দাবি, বেলা ১২টা নাগাদ হঠাৎ কাঁকুড়গাছিতে বিপত্তি ঘটে। দ্রুত পয়েন্ট মেরামত করতে রেলের কারিগরি বিভাগের কর্মীরা কাজ শুরু করেন। তবে ঘটনাস্থলে থাকা যাত্রীদের অনেকের বক্তব্য কাজ শুরু হতে হতে দুপুর প্রায় একটা বেজে যায়। যার জেরে পরপর স্টেশনগুলিতে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন। শিয়ালদহ মেইন লাইনে এই ঘটনার হাজার হাজার যাত্রী চূড়ান্ত বিপাকে পড়েন।
রেল জানিয়েছে, দুপুর একটা ৩৫ মিনিট নাগাদ পয়েন্ট মেরামত শেষ হয়। তারপর ধীরে ধীরে শুরু হয় ট্রেন চলাচল। কিন্তু দেড় ঘণ্টার ভোগান্তির জেরে গোটা ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সেই প্রভাবের রেশ থেকে যায়। পয়েন্ট বিভ্রাটের দৌলতে এদিন বেলা থেকেই টাইম টেবিল মেনে ট্রেন চলাচল করতে পারেনি। যাত্রীদের অভিযোগ, এমন গুরুতর বিষয় হলেও রেল উপযুক্ত কোনও ঘোষণা করেনি। স্টেশনগুলিতে ভিড় বাড়ছিল কিন্তু প্রকৃত সমস্যার বিষয় জানানোই হয়নি যাত্রীদের।
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সপ্তাহের কাজের দিনে শিয়ালদহ মেইন লাইনে দেড় ঘণ্টা বিপর্যস্ত ট্রেন পরিষেবা।
বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ কাঁকুড়গাছি স্টেশনের কাছে ১০২ নম্বর পয়েন্ট বিকল হয়ে পড়ে। যার জেরে দমদম থেকে শিয়ালদহগামী ডাউন তিন ও চার নম্বর লাইনে সিগন্যাল যায় খারাপ হয়ে। আর যাত্রীবোঝাই একাধিক ট্রেন পরপর দাঁড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন স্টেশনে। দীর্ঘ সময় ট্রেনের চাকা থমকে থাকায় বহু যাত্রী প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের উপর দিয়ে হাঁটা শুরু করেন। যার জেরে আপ লাইনে এক ও দুই নম্বর লাইনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এই ঘটনার জেরে আপ-ডাউন মিলিয়ে দু’জোড়া ট্রেন বাতিল হয়। পাশাপাশি ৩০টির বেশি যাত্রীবোঝাই ট্রেন যাত্রাপথে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকে। অন্যদিকে, নৈহাটি-বালিগঞ্জ লোকাল চলাচল করতে পারেনি। ট্রেনটিকে বালিগঞ্জে বিরতি নিতে হয়েছে এবং যাত্রা শুরু করতে হয়েছে।