হস্তশিল্পীরা তাদের কাজের সাফল্যের জন্য সুনাম পেতে পারেন। সঙ্গীতাদি চারুকলার ক্ষেত্রে বিশেষ সম্মান লাভের যোগ। ... বিশদ
কামারহাটি পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের ধোবিয়াবাগান এলাকায় একটি পাঁচতলা বাড়ি বহুদিন ধরে হেলেছিল। গত বছর গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ার পর সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছিল এই হেলে থাকা বাড়িটির খবর। তারপরও পুরসভা কোনও হেলদোল দেখায়নি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি কলকাতার বাঘাযতীনে বহুতল বিপর্যয়ের পর বিষয়টি নিয়ে ফের হইচই শুরু হওয়ায় পুরসভা আর উদাসীন থাকতে পারেনি। বোর্ড মিটিংয়ে বেআইনি বহুতলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো ধোবিয়াবাগানের ওই বহুতলের জমি মালিক মহম্মদ ফারুককে নির্মাণটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়াই সেটি তৈরি করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, প্রোমোটার ওই বহুতল তৈরির জন্য জমি মালিকের সঙ্গে কোনও চুক্তিই করেননি। পুরসভার হুঁশিয়ারিতে শেষ পর্যন্ত জমিমালিক ও প্রোমোটার বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করেছেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারহাটির ১ থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে অনুমোদিত বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়া শতাধিক বহুতল নির্মাণ হয়েছে গত ১০ বছরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এসব এলাকা রয়েছে এক-একজন ‘দাদা’র নিয়ন্ত্রণে। তাদের এলাকা ভগে করে দিয়েছেন শাসক দলের প্রভাবশালীরা। তারপর সরকারি নিয়ম ও পুরসভার বিধি তুড়ি মেরে মাথা তুলেছে বহুতল। এখন বিতর্ক শুরু হওয়ায় প্রভাবশালীরা হাত তুলে নিয়ে সব দায় পুরসভার ঘাড়ে ঠেলছেন। এই আবহে পুরসভা সমস্ত অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে উদ্যোগী হয়েছে। পরপর নোটিসে সাড়া না দেওয়া ১৭টি বহুতলের প্রোমোটার ও জমি মালিকের নামে কামারহাটি থানায় এফআইআর করা হয়েছে। শহরবাসীর দাবি, ওই সাতটি ওয়ার্ড ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় গত এক দশকে প্রচুর বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। ওই সাতটি ওয়ার্ডের বেআইনি নির্মাণ বাকি এলাকার প্রোমোটারদেরও ‘সাহসী’ করেছিল। তাঁরাও কাউন্সিলারদের ‘ম্যানেজ’ করে প্ল্যান ছাড়া বাড়ি, তিনতলার প্ল্যানে চার-ছ’তলা তুলে ফেলতে দু’বার ভাবেননি।
কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, ‘কোনও বেআইনি নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না। ৫০টি বেআইনি বহুতল ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একটি ইতিমধ্যে ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। বোর্ড মিটিংয়েই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনিয়ম রুখতে পুলিস-প্রশাসন ও আইনের সর্বোচ্চ স্তরে যাব আমরা’