আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, স্রেফ গুজবকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেছে। বহিরাগতরা স্কুলে ঢুকে পড়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। বিডিওকে তদন্ত করে আলিপুর মহকুমা শাসকের মাধ্যমে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে তার আগে এলাকায় সকলকে নিয়ে বসে শান্তির পরিবেশ তৈরি করার পরিকল্পনা হয়েছে। এজন্য আজ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বাখরাহাটে সকলকে নিয়ে একটি শান্তি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বাখরাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস চালু হওয়ার কিছু সময় পর গুজব রটে যায়। তা হল, কয়েকজন ছাত্র জয় শ্রীরাম বলেছে। এ নিয়ে কানাঘুষো স্কুলের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। তাতেই উত্তপ্ত হয়ে যায় এলাকা। স্বঘোষিত বহিরাগত দাদারা দলবল নিয়ে জোর করে স্কুলে ঢুকে যায়। কে জয় শ্রীরাম বলেছে, তা নিয়ে ছাত্রদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। কোনও জবাব না পেয়ে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে মারধর ও গালিগালাজ শুরু করে। অন্য ক্লাসের পড়ুয়াদের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়। আচমকা এমনভাবে স্কুলে ঢুকে হামলার ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন শিক্ষকরা। এরমধ্যে বিষয়টি বিষ্ণুপুর থানায় ফোন করে জানানো হয়। এভাবে দাদাগিরির বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ সোচ্চার হয়। দ্রুত পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায়। কিন্তু বহিরাগতদের বার করতে গিয়ে বেগ পেতে হয়। কারণ, তাণ্ডবকারীরা এতটাই স্কুলে ঢুকে বেপরোয়া মনোভাব দেখাচ্ছিল যে পুলিস সংযত হওয়ার কথা বলতে গিয়ে বাধা পায়। পুলিসের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। শেষ পর্যন্ত লাঠি চালিয়ে স্কুলের ভিতর থেকে বহিরাগতদের বার করে দেওয়া হয়। অভিযোগ, স্কুলের ভিতর ঢুকে বহিরাগতরা যেভাবে ছাত্রদের মারধর করেছে, তাতে শাসকদলের একাংশের উসকানি ছিল। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। আলিপুর মহকুমা শাসক মহম্মদ স্যামুয়েল আলম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।