দেশ

উৎসবের মরশুমেও বাজারে চাহিদা কম চিন্তায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারকরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নিছক শিল্প, কৃষি কিংবা পরিষেবা নয়। অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হল বাজারে পণ্যের চাহিদা সচল থাকা। বাজারে আর্থিক লেনদেন জোরদার না হলে যে কোনও অর্থনীতিই মন্দায় আক্রান্ত হবে। সেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটির সদস্যরা। পণ্য বিক্রয়ের শ্লথগতির নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁদের কয়েকজন।
উৎসবের মরশুমেও বাজারে চাহিদা কম। দুর্গাপুজো, নবরাত্রি হয়ে গিয়েছে। এবার দেশজুড়ে দীপাবলি, ভ্রাতৃদ্বিতীয়া, ছটপুজো। কিন্তু চাহিদা ঊর্ধমুখী নয়। অন্যতম প্রধান কারণ হল মূল্যবৃদ্ধি। আর বিশেষ করে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি। অর্থাৎ সাধারণ মানুষ পরিবারে খাদ্যের সংস্থান করতেই দিশাহারা হয়ে যাচ্ছেন। তাই অতিরিক্ত অর্থের যোগান দেওয়ার মতো সঞ্চয় অথবা সাশ্রয় নেই আমজনতার কাছে। সেই কারণে উৎসবের মরশুমে যে অতিরিক্ত ভোগ্যপণ্য ক্রয়ের প্রবণতা থাকে, সেটি অনুপস্থিত।
সম্প্রতি নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠক হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে মূল্যবৃদ্ধি এখনও যেহেতু নিয়ন্ত্রণে আসছে না এবং আগামী দিনে আরও বাড়বে, তাই রেপো রেট কমানো হবে না। যদিও মোট ৬ জন সদস্যের মধ্যে ৫ জন রেপো রেট একই রেখে দেওয়ার পক্ষে বৈঠকে রায় দেন। একজন নতুন সদস্য কিন্তু ২৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট কমানোর পক্ষে প্রস্তাব করেছিলেন। সেই বৈঠকে হওয়া আলোচনা ও সিদ্ধান্তের বিস্তারিত সূচি প্রকাশ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেখানে জানা যাচ্ছে, নতুন সদস্য নাগেশ কুমার ওই বৈঠকে বলেছিলেন, ভারতীয় শিল্প এবং বাজার চাহিদার সঙ্কটে ভুগছে। যেহেতু সাধারণ মানুষ থেকে শিল্পসংস্থার মধ্যে এই চাহিদার সঙ্কট প্রভাব ফেলছে, তাই ২৫ বেসিস পয়েন্ট যদি রেপো রেট কমানো যায়, তাহলে সম্ভবত কিছুটা হলেও আর্থিক সাশ্রয় হবে। আর ওই টাকা বাজারে আসতে পারে। সেই ফর্মুলা অবশ্য বাকি সদস্যরা মেনে নেয়নি। তবে নাগেশ কুমারের ওই যুক্তির সঙ্গে একমত হয়েছিলেন আরও দুই সদস্য। তাঁরাও বলেছিলেন যে, বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি করা দরকার। আর এক সদস্য অর্থনীতিবিদ সৌগত ভট্টাচার্য এই বৈঠকে একমত হয়েছেন নাগেশ কুমারের সঙ্গে। তিনি বলেছেন, উৎসবের মরশুমে পণ্য চাহিদা একইরকম রয়ে যাচ্ছে। এই চাহিদা আদৌ বাড়ছে কি না, সেটা জানার পর আগামী দিনে পরবর্তী পদক্ষেপ করা যাবে। অর্থাৎ পরোক্ষে তিনিও  স্বীকার করেছেন যে, পণ্য চাহিদা কমে গিয়েছে অথবা থমকে গিয়েছে। 
পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ার অর্থ হল, সংসার সামলে এবং নিত্যপণ্য ক্রয় করার পর আমজনতার অতিরিক্ত ক্রয়ক্ষমতা থাকছে না। অথবা সে বেশি ব্যয় করতে ভয় পাচ্ছে। চাহিদায় এই শ্লথতা এলে অর্থনীতি সাধারণত থমকে যায়। আর এসবের প্রধান কারণ হল প্রধানত খাদ্য মূল্যবৃদ্ধি। 
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সপরিবারে তীর্থ ভ্রমণের সম্ভাবনা, ৪৫ ঊর্ধ্বে যাঁদের সুগার ও প্রেশার আছে তাঁরা একটু বেশি সতর্ক...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৪ টাকা৮৪.৯৮ টাকা
পাউন্ড১০৬.৮৫ টাকা১১০.৬১ টাকা
ইউরো৮৯.০৪ টাকা৯২.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা