বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ

পর্যটকদের এবার নয়া ডেস্টিনেশন আগুইবিল

প্রদীপ্ত দত্ত, ঝাড়গ্ৰাম: বেলপাহাড়ী মানেই জঙ্গল-পাহাড়-নদী। চড়াই-উতরাই পথে কখনও সখনও দেখা মেলে বন্যপ্রাণীদের। ঝর্ণার কাছে হরিণের দল আসে জল খেতে। আগুইবিল ও মহুলবনীর মতো নৈসর্গিক প্রাকৃতিক এলাকা বাইরের জগতের কাছে এখনও অজানা। পর্যটকদের কাছে তা ক্রমশ ভ্রমণের নতুন ডেস্টিনেশন হয়ে উঠছে।
এদিকে বাঘের আগমনে বেলপাহাড়ী এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। তাই জঙ্গল এলাকায় পর্যটকরা যেতে পারছেন না। তাতে অবশ্য পর্যটক আসায় কমতি নেই। বেলপাহাড়ীর চেনা পর্যটনস্থলের বাইরে আরও নতুন জায়গার খোঁজ বাড়ছে। এদিকে আগুইবিল ও মহুলবনী হঠাৎ করেই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে‌। তবে পার্শ্ববর্তী আমরুলা, রিমড়াডাঙা, ওদলচুয়া, সিঙ্গাডোবার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখনও অজানাই রয়ে গিয়েছে। খুনিডুংরি পাহাড়ের পাদদেশে দেখা মেলে তুলসিবনী স্বরোবরের। পাহাড়ে উঠলে দেখা যায় চোখ জুড়ানো দিগন্ত বিস্তীর্ণ জঙ্গল। হরিণ, নেকড়ে, বুনো শুকর, খরগোশ প্রভৃতির অবাধ বিচরণভূমি এই জঙ্গল। কাছেই রয়েছে টুয়ার ডুংরি, সোজা ডুংরি ও চেরাং ডুংরি পাহাড়। বেলপাহাড়ীর ইন্দিরাচক থেকে বাঁশপাহাড়ী যেতে রাজ্যসড়ক ধরে দেড় কিলোমিটার গেলেই হড়দা চক। সেখান থেকে আরও পাঁচ কিলোমিটার গেলে আগুইবিল গ্ৰামের দেখা মিলবে। বাইরে থেকে আসা উৎসাহী ভ্রমণপিপাসুদের জন্য বিভিন্ন পর্যটন সংস্থার তরফে জঙ্গলের অচেনা এলাকা পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় গ্ৰামবাসীদের কাছ থেকেও জঙ্গলের অজানা পথের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। পযর্টকদের থাকার জন্য আগুইবিল গ্ৰামে তিনটি হোম স্টে গড়ে উঠেছে। নিকটবর্তী গোহালবেড়া গ্ৰামেও একটি হোম স্টে রয়েছে। হোম স্টেগুলিতে থাকা-খাওয়ার খরচ মাথাপিছু ১২৫০-২২৫০ টাকা। অর্ডার দিলে রসনাতৃপ্তিতে পাওয়া যাবে শাল চিকেন, ব্যাম্বু চিকেন কিংবা বনমোরগের মাংস। পাশাপাশি যেসব জায়গায় কোনও পর্যটকের পদচিহ্ন পড়েনি, এমন জায়গায় বেড়ানোর ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়। ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের এক আধিকারিক বলেন, জঙ্গল বন্যপ্রাণীদের স্বাভাবিক বিচরণ ক্ষেত্র। গত দুই দশকে ঝাড়গ্ৰামে জঙ্গলের ঘনত্ব বেড়েছে। বন্যপ্রাণীরা লোকালয় এড়িয়ে চলে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। তবে জঙ্গলের গভীরে না গেলে বিপদের তেমন একটা ঝুঁকি নেই। সতর্কতা অবলম্বন অবশ্যই দরকার।
বেলপাহাড়ী ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র বিধান দেবনাথ বলেন, বেলপাহাড়ীর চেনা পর্যটনস্থলগুলিতে পর্যটকরা নিয়মিত ঘুরতে আসেন। গভীর জঙ্গলের কাছের পর্যটনস্থলগুলিতে পর্যটকদের যেতে বারণ করা হচ্ছে। সেই কারণে অনেকে নতুন জায়গার সন্ধান করছেন। আগুইবিল ও মহুলবনীর মতো এলাকাগুলি পর্যটকদের নতুন ডেস্টিনেশন হয়ে উঠছে। বেলপাহাড়ীর সিঙ্গাডোবা এলাকার বাসিন্দা এক যুবক বলেন, গ্ৰামবাসীরা স্বাভাবিকভাবেই প্রতিদিনের কাজকর্ম করছেন। তাঁরা শুধু জঙ্গল এলাকাগুলি এড়িয়ে যাচ্ছেন। বাইরের কয়েকজন পর্যটককে গত কয়েকদিনে কেতকি ঝর্ণা ঘুরিয়ে নিয়ে এসেছি। পর্যটকদের উপর নির্ভর করেই আমাদের বাড়তি রোজগার হয়। বন্যপ্রাণীদের এলাকায় না গেলে কোনও বিপদ নেই। ওদের নিয়ে অকারণ ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। - ফাইল চিত্র
6h 6m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৬.৪৩ টাকা৮৮.১৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.৬৮ টাকা১১২.৪৬ টাকা
ইউরো৮৯.৭৪ টাকা৯৩.১৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা