বিনোদন

‘আমাদের নিয়ে রহস্য থাকবেই’

স্বরলিপি ভট্টাচার্য ছবির নাম ‘অযোগ্য’ হবে ভেবেছিলেন?
ঋতুপর্ণা: (হাসি) ‘অযোগ্য’ নামটা বিশ্বাস করুন ভাবিনি। ‘অযোগ্য’ নামটা কৌশিকদা (গঙ্গোপাধ্যায়, পরিচালক) আগে  ডিসক্লোজ করেননি। (প্রসেনজিতের দিকে তাকিয়ে) ও জানত কি না আমি জানি না। আমি নামটা জানতাম না।
প্রসেনজিৎ: আমি জানতাম। আমরা মনে হয় যোগ্য আর অযোগ্য কথাটা আমরা প্রত্যেক বাড়িতেই বলি। কে যোগ্য আর কে অযোগ্য। আর এই যে দু’জনকে (নিজেদের দেখিয়ে) নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, তাদের যোগ্যতা নিয়ে গত ৩০ বছরে প্রচুর প্রশ্ন উঠেছে। তাই আমরা যদি ভাবি, এটা আমাদের ৫০তম ছবি। তাও আমরা নিজেদের বলছি, আমরা অযোগ্য। এতে ভুল কী আছে? (হা হা হা) কিন্তু দর্শক আমাদের ভালোবেসেছেন। ২৫ বছর আগে আমরা যতটা কাজের প্রতি একনিষ্ঠ ছিলাম, এখনও তাই। যাঁরা আমাদের সঙ্গে কাজ করেন তাঁরা জানেন। এই দুটো মানুষের কাজের প্রতি খিদে এখনও একইরকম। সেগুলোই বাঁচিয়ে রেখেছে বলে আমরা ৫০তম ছবি করতে পারলাম।

আপনাদের পর বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে সেভাবে আর জুটি তৈরি হল না কেন? এই জুটির ম্যাজিক ফ্যাক্টরটা কী?
প্রসেনজিৎ: আমার মনে হয় সিনসিয়ারিটি। এই জুটির রোমান্স, ম্যাজিক দর্শকের পছন্দ। এই পছন্দটা জোর করে করানো যায় না। এটা শুধু আমরা করিনি। আমাদের সঙ্গে যত পরিচালক, কলাকুশলী, টেকনিশিয়ান কাজ করেছেন, সকলের অবদান রয়েছে।

ঋতুপর্ণা, আপনি কী বলবেন?
প্রসেনজিৎ: সবটাই বলে দিয়েছি (হা হা হা)।
ঋতুপর্ণা: সত্যিই তাই। আমি ভাবছিলাম কী বলব (হাসি)। ও যা বলল, সেটাই আমার বক্তব্য। জুটি হিসেবে আমরা প্রচুর আশীর্বাদ পেয়েছি। এই দুটো নাম বাড়ি বাড়ি ঢুকে গিয়েছে। সারা পৃথিবীতেই যেখানে বাঙালি আছেন, বাংলা সিনেমা নিয়ে চর্চা হয়, সেখানে এই দুটো নাম নিয়ে আলোচনা হবেই।

আর জুটি তৈরি হল না কেন?
ঋতুপর্ণা: জুটিটাই তো ম্যাজিক। যেটা আমরা কেউ ডিকোড করতে পারিনি। এটা খুব অর্গানিক। আমরা যদি অনেক বছর একসঙ্গে কাজ নাও করি, তারপর সেটে এসে দুটো চরিত্র হয়ে মুখোমুখি দাঁড়াই, ম্যাজিকটা এমনিই হয়ে যায়। ওটা আমরা কেউ ডিজাইন করে যাই না। 

মাঝে ১৪ বছরের বিরতি নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি করেছিলেন, দর্শকের, নাকি নিজেদের?
ঋতুপর্ণা: আমি একটু আলাদাভাবে বিষয়টা দেখি। হয়তো ক্ষতি হয়নি। লাভই হয়েছে। কারণ এই জুটি যখন ফিরে এসেছে, নতুন উদ্যমে, নতুন ভাবনায় ফিরেছে। মাঝে হয়তো কিছু ভালো সিনেমা আমরা করতে পারতাম। কিন্তু সব কিছু তো জীবনে হয় না। হয়তো এটাই ঈশ্বরের ইচ্ছে ছিল। 
প্রসেনজিৎ, আপনারও একই মত?
প্রসেনজিৎ: ওই সময়টা আমরা আমাদের মতো বড় হয়েছি। সবটাই ভাগ্য। আমাদের ছবি না করার ১৪ বছরও যদি একটা ইতিহাস হয়ে থাকে। তাহলে আমাদের ফেরাটাও ইতিহাস।
১৪ বছর পর ফিরে এসে ছবি মুক্তি বেশ চাপের ছিল। ৫০তম ছবির ক্ষেত্রেও কি একই চাপ রয়েছে?
প্রসেনজিৎ: ‘প্রাক্তন’-এর প্রেশারটা অন্যরকম ছিল। আমি বারবার বলতাম, ১৪ বছর মানে একটা প্রজন্ম পাল্টে গিয়েছে। যারা ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ দেখেছে, সেই প্রজন্ম এখন আর নেই। এখন আমরা আবার একসঙ্গে কাজ করছি সকলে জানেন। তবে আমরা একসঙ্গে ছবি করা মানে একটা স্তর পর্যন্ত চাপ তো থাকবেই। কিন্তু সঠিক পরিচালক (কৌশিক) রয়েছেন। যিনি বাঙালির আবেগ খুব ভালো বোঝেন। এই ভদ্রলোক গল্প বলতে জানেন। 

এই জুটির পর্দার প্রেম তো সেলিব্রেট করা হয়। ‘অযোগ্য’ তো প্রেমের গল্প নয়?
প্রসেনজিৎ: সহজ সরল প্রেমের গল্প এটা একেবারেই নয়।
ঋতুপর্ণা: আমার মনে হয় প্রেমের সংজ্ঞাগুলোও এখন বদলেছে। ফলে সেই জায়গা থেকে ‘অযোগ্য’ খুব ম্যাচিওর্ড ছবি। আর ও যেটা বলছিল (প্রসেনজিতকে দেখিয়ে) কৌশিকদা যেভাবে সম্পর্ক দেখান, এত ইন্টারেস্টিং। এক রকমভাবে শুরু হয়, তারপর এমন জায়গায় মোচড় দেন, অ্যামেজিং। এত বছরের একটা জুটিকে হ্যান্ডেল করা কিন্তু সহজ নয়। প্রত্যেক সিনেমার সঙ্গে আমরাও নিজেদের আরও বোঝার চেষ্টা করি।

৫০টা ছবি করার পর কি আপনারা একে অপরের কাছে প্রেডিক্টেবল নাকি এখনও কোনও রহস্য আছে?
প্রসেনজিৎ: এই রহস্যটা থাকবে। আমাদের পর্দার রহস্য, পর্দার পিছনের রহস্য থাকবে। আমি ঋতুকে বলেছি, আমার যখন ৭৫ বছর বয়স হবে, ওর আর একটু কম। ও আমার থেকে অনেকটা ছোট (হাসি)। তখন একটা ছবি করব আমরা। তখনও যাতে দর্শক সকাল আটটার শো-তেও ভিড় করে। এটাই হল রহস্য।
ঋতুপর্ণা: এদের মধ্যে আসলে কী ছিল? এটা নিয়ে যেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে গবেষণা চলে (হাসি)।
প্রসেনজিৎ: আমরা ভাগ্যবান আমরা ডিজিটাল সময়ে ছিলাম না। 

শেষ প্রশ্ন, নিজেদের পছন্দের তিনটে ছবির নাম বলুন। 
প্রসেনজিৎ: উৎসব, শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ, শুধু একবার বলো। দায়দায়িত্ব, খেলাঘরও ভালো।
ঋতুপর্ণা: খেলাঘর, শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ, শুধু একবার বলো, উৎসব।
প্রসেনজিৎ: অবশ্যই প্রাক্তন, দৃষ্টিকোণ।
ঋতুপর্ণা: শত্রু মিত্র, গুরু শিষ্য।
তিনটেতে তো আটকে থাকা গেল না?
প্রসেনজিৎ: সেটা কি সম্ভব (হাসি)!
 
2Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা