বিনোদন

আমার কোনও প্রতিযোগিতা নেই

স্বরলিপি ভট্টাচার্য: শুভ জন্মদিন
(হাসি) থ্যাঙ্ক ইউ...।
দশম অবতার আপনার কততম অবতার?
(একটু ভেবে) ৩৪৯ বা ৩৫০ হবে।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘২২শে শ্রাবণ’ মুক্তি পেয়েছিল প্রায় ১২ বছর আগে। এই ছবি তার প্রিক্যুয়েল। ১২ বছরেরও আগের প্রবীরকে (প্রসেনজিতের চরিত্র) কীভাবে তৈরি করলেন?
প্রবীর যে ফিরবে এটাই আমি ভাবিনি। এটা এমন একটা চরিত্র যা বাঙালির মনে আগামী ২৫ বছর পরও থেকে যাবে। সৃজিত যখন ফোন করে বলল, প্রবীরকে ফেরাতে চাই, আমি অবাক হয়েছিলাম। প্রিক্যুয়েল কনসেপ্টটাই ভালো লেগেছে। বাংলা ছবিতে আগে এমন হয়নি। আবার একসঙ্গে দুটো চরিত্র। ‘২২শে শ্রাবণ’ আর ‘ভিঞ্চিদা’র প্রিক্যুয়েল। যে প্রবীরকে আমরা দেখেছি সে একজন ভেঙে পড়া মানুষ। এখানে যে প্রবীরকে দেখছি, সে অ্যাকটিভ। নিজের উপর কী কী কাজ করেছি সেটা ছবিটা দেখলে বোঝা যাবে। ট্রেলার দেখে সকলে বলছে, আমরা যদি তোমাকে না জানতাম তাহলে অনির্বাণ (ভট্টাচার্য) আর তোমাকে দেখে চার-পাঁচ বছরের ছোট বড় মনে হচ্ছে। অনির্বাণের বয়স আমার অর্ধেক। দু’জনের জুটি দর্শকের ভালো লাগবেই।
অনির্বাণ ভট্টাচার্য, যিশু সেনগুপ্তর সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে নিজের কোন দিকের উপর জোর দিলেন?
ওরা অসাধারণ অভিনেতা। ওদের অভিনয়ের ধারা একবারেই আলাদা। ৩০ বছর আগে আমি যে অভিনয় করতাম তা বদলে গিয়েছে। সিনেম্যাটিক ল্যাঙ্গুয়েজ পাল্টেছে। আমি যখন একটা ‘শেষপাতা’, ‘মনের মানুষ’ করি, তখন গ্রাফটা ভাঙি। ওদের কাজ খুব অনুপ্রেরণা দেয়। ওদের সঙ্গে কাজ করতে গেলে তো সমানে সমানে করতে হবে। ভালো কি মন্দ, সেটা পরের কথা। প্রতি মুহূর্তে ওদের থেকে শিখি। আজকের অভিনয়ের গ্রাফটা ধরার চেষ্টা করি। এটা সারাক্ষণ করি বলে বোধহয় এই প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অভিনয় করতে পারি। সারাক্ষণ ওদের জিজ্ঞেস করি, হ্যাঁ রে এটা ঠিক হচ্ছে তো? এটা এইভাবে করলে তোর বলতে সুবিধে হবে? এটা তো আসলে টিমওয়ার্ক। 
এই প্রজন্ম কি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করে?
অবশ্যই। ওদের কিছুক্ষেত্রে হিংসে হয়। শিখিও। আবার একটা ‘দশম অবতার’, ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’ বা ‘শেষপাতা’ করার চেষ্টাও করি। ওরাই আমাকে এই চ্যালেঞ্জটা দেয়। আমি বিশ্বাস করি সময়ের সঙ্গে চলতে হবে। আমি কী করেছিলাম ওটা আলটিমেট নয়। সচেতন থাকতে হবে সব সময়। ‘দশম অবতার’-এ আমি আর অনির্বাণ অনেক ইম্প্রোভাইজ করেছি। এটা পাশের অভিনেতার সঙ্গে বন্ধুত্ব হলেই হতে পারে। বন্ধুত্ব হতে বয়স লাগে না। ‘বুম্বাদা’ হয়ে থাকলে কাজটা হবে না। আমি প্রথমে ওটা ব্রেক করি। 
অভিনয় শেখানোর কথা ভাবেন না?
আমি তো শিখি ওদের থেকে। শেখাব কী? কখনও সেটে বা এমনি ওরা বসে আড্ডা মারে। আমার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিই। ধরা যাক তপন সিনহা, তরুণ মজুমদার কীভাবে শ্যুটিং করতেন। ওরা পড়েছে বড়জোর। কিন্তু আমি তো কাজটা করেছি। এই গল্পগুলো করি।
৪০ বছরেরও বেশি কাজ করছেন। কখনও ক্লান্তি এসেছে?
না। যেদিন মনে হবে অভিনয়টা আমার কাছে ক্লান্তির জায়গা সেদিন আর অভিনয় করব না। আমি কাজ করতে করতে সুইচ অফ করতে চাই। ঈশ্বর যদি সেটা করেন, আমি কৃতজ্ঞ থাকব। কারণ এর বাইরে আমার কোনও জগৎ নেই। আমি এটাতেই বাঁচি। 
স্টারডমের সংজ্ঞা কতটা বদলেছে? বছরে ছবির সংখ্যা আরও কমানো নাকি বাড়ানো উচিত? 
আমার একটা ‘শেষপাতা’ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আবার একটা ‘কাকাবাবু’, ‘শঙ্খচিল’, ‘দশম অবতার’ থাকাও জরুরি। আমি খুব ব্যালেন্স করে চলি। আজকের দিনে কথোপকথনের ভাষা পাল্টেছে। একটা সময় গড়ে ১৮-১৯টা ছবি করতাম বছরে। সকলের ভালোবাসায় একই দিনে তিনটে ছবিও রিলিজ করেছে। এটাও দেখেছি। ‘অটোগ্রাফ’-এর পর থেকে নিজেকে বদলেছি। বছরে দু-তিনটে ছবি করি। একটা করি কমার্শিয়াল ভাবনার জন্য। কিন্তু একটা ‘ময়ূরাক্ষী’ বা ‘শেষপাতা’ যখন করছি, জেনেই করছি এটা অন্যরকম ভাবে মানুষ মনে রাখবেন। এটা আমার আজীবন থেকে যাবে। আগে শুধু বক্সঅফিস দেখতাম। এখন জানি দুটোই করতে হবে। 
এখন কোন স্বপ্ন দেখেন?
পরিচালক হব। 
পরিচালনার কথা ভাবছেন তাহলে?
ভাবছি। তবে অভিনয় চালিয়ে যাবই। আসলে আমি অনেক আগে ভেবে ফেলেছি। ভারতবর্ষে কোনও অভিনেতা সেরা ফর্মে কমার্শিয়াল সিনেমা থেকে নিজেকে আমার মতো তুলে নিতে পারেনি। প্রথম ভাবতে হয়েছিল, সিটি, হাততালি আর পাব না। যেটা আমি ৩০ বছর পেতে অভ্যস্ত। এই লোভটা থেকে বেরতে হয়েছে। কিছু পেতে গেলে কিছু ছাড়তে হবে। খুব হিসেব করে আমার পরের প্রজন্মকে ওই জায়গাটা ছেড়ে দিয়েছি। নিজের ব্র্যান্ড মেনটেন করেছি। আমার কারও সঙ্গে কোনও প্রতিযোগিতা নেই। ঈশ্বরের আশীর্বাদে এখনও একটা ‘ময়ূরাক্ষী’, ‘আয় খুকু আয়’ করতে পারি। আবার প্রবীরকেও ফিরিয়ে আনতে পারি।
কীসে ভয় পান?  
একটাই ভয় তাড়া করে বেড়ায়। এখন আর আমার কোনও প্রতিযোগিতা নেই। আমাকে মুম্বইতে এক বড় পরিচালক বলেছিলেন, আপনি কোনওদিন হিসেব করে দেখেছেন, বাংলা ছবিতে এত কাজ করে ফেলেছেন, আপনার আর নতুন কী দেওয়ার আছে? নতুন কিছু দিতে পাওয়ার মতো একটা চরিত্র না পাওয়ার ভয় পাই। প্রত্যেকটা ছবিতে আমি পারব না জানি। কিন্তু দু-তিন বছর পর পর যাতে দর্শককে একটা চমক দিতে পারি। তা যদি না পাই, ওটাই আমার ভয়।
10Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা