Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নেতাজির জন্যই ভারত ছেড়েছিল ইংরেজ
পিনাকী ভাদুড়ী

গত অক্টোবরে আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লায় ইতিহাসকে স্মরণ করে আজাদ হিন্দ সরকারকে সম্মানিত করেছেন। এর প্রতিক্রিয়া দু’রকম। কেউ বলেছেন, বিষয়টা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সম্ভবত আসন্ন নির্বাচনী প্রচারের প্রস্তুতি। অন্য কেউ বলেছেন, আজাদ হিন্দ সরকার, আজাদ হিন্দ ফৌজ এবং সুভাষচন্দ্রকে জনতার সামনে একবার সগৌরবে উপস্থিত করার মূল্য কম কী? এতদিন তো এঁদের বিস্মৃত করেই দেওয়া হয়েছিল।
দেশবাসী এখন রাজনীতির চরিত্রহীনতা দেখে ক্লান্ত, বিধ্বস্ত এবং সশঙ্কিত। তারা হয়তো এই ঐতিহাসিক সংবাদে উৎসাহিত হবার সুযোগ পাবে। আপাত-বিস্মৃত এই ঘটনার তথ্যাদি জেনে নতুন প্রজন্ম যদি উৎসুক হয়, তবে দেশের পক্ষে আশ্বাসের একটি নতুন মোড় নেওয়া অসম্ভব হবে না। সরকারের অন্য উদ্দেশ্য যদি থাকেও, প্রকারান্তরে সেটি আমাদের উপকারই করতে পারে।
পিঠোপিঠি আর একটি ঘটনা ঘটল। জাপান যখন ১৯৪৩ সালে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অধিকার করে, তখন সেখানে আজাদ হিন্দ সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুভাষচন্দ্র বসু জাতীয় পতাকা উড়িয়েছিলেন। দ্বীপপুঞ্জটি ফৌজের হাতেই আসে, সুভাষচন্দ্র দ্বীপপুঞ্জটির কমিশনার করেন কর্নেল লোগানাধনকে। দ্বীপপুঞ্জটি প্রথম ভারতীয় মুক্তাঞ্চল হিসেবে পরিগণিত হল।
সুভাষচন্দ্র এখানে দুটি দ্বীপের নামকরণ করেন—‘শহিদ’ ও ‘স্বরাজ’। এই নামকরণ কোনও ভারতীয় সরকার এতদিন গ্রহণ করেনি। ১৯৪৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর এই দ্বীপপুঞ্জে ভারতীয় পতাকা উড়েছিল। তারই সম্মানে গত ৩০ ডিসেম্বর দুটি দ্বীপের ‘শহিদ’ এবং ‘স্বরাজ’ নামকরণের ফলে বহুদিনের একটি প্রত্যাশিত প্রস্তাব গৃহীত হল। ওইসঙ্গে রস আইল্যান্ড নেতাজির নামাঙ্কিত হল। দেরিতে হলেও স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায়কে স্মরণ করা হল। পূর্ববর্তী সরকারের অবহেলা ও অবজ্ঞা আর একবার পরিস্ফুট হল।
স্মরণ করা যাক, ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠিত হয়। আগের দিন সুভাষচন্দ্র রাতভর ওই সরকারের ঘোষণাপত্রটি তৈরি করেন। সেদিনের সেই আবেগ, আশা, আলোড়নের অতুলনীয় আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করেছিল নিশ্চয়। এই প্রসঙ্গে ভারত-বিভাজনের পটভূমিকার শেষতম পর্যায়টি দেখে নেব।
১৯৩৭ সালে কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচনের পরে কংগ্রেস (পড়ুন, নেহরু) মুসলিম লিগের সঙ্গে জোট সরকার গড়তে চাইল না। ফলে, লিগ ক্রুদ্ধ হল এবং এতদিন না চাইলেও, এবারে লিগ বিভাজন চাইল। যাঁকে এখন ‘একতার প্রতিমূর্তি’ বলা হচ্ছে, সেই সর্দার প্যাটেল বললেন, লিগ যদি চাপ দেয় আলাদা হয়ে যাবার জন্য, তাহলে তাদের জোর করে এক হয়ে থাকার জন্য চেষ্টা করতে হবে না।
ব্রিটিশ অতিশয় ধূর্ত। স্বার্থের জন্য সে যে-কোনও দেশকে ভেঙে নিজেদের সুবিধে অর্জন করে নিতে পারে। এই উদ্দেশ্যেই ইংরেজ সাম্প্রদায়িকতার জিগির তুলেছিল। পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন রণজিৎ সিং ভাসিন। তিনি বলেছেন, ১৯৪৭-এর দাঙ্গা ইংরেজরা চাপিয়ে দিয়েছিল, নয়তো দাঙ্গা-বিধ্বস্ত গ্রামগুলোয় সেনা পৌঁছতে দেরি হল কেন, যখন রাওয়ালপিন্ডির সেনানিবাস থেকে এক ঘণ্টায় পৌঁছনো যেত? ইশতিয়াক আমেদ লিখেছেন মাউন্টব্যাটেন ভারতে আসার আগেই কৃষ্ণ মেনন দেশ বিভাজনের পরিকল্পনার ছক তৈরি করছিলেন কীভাবে? লর্ড ওয়াভেলের বিবৃতি থেকে জানা যায়, চার্চিল ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ প্রয়োগ করে ভারতে আরও কিছুকাল থেকে যেতে চেয়েছিলেন, যাতে যুদ্ধের বিপর্যয় থেকে পুনর্গঠন করার সময় মেলে। এটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে, কারণ যুদ্ধের পরে ওই ক্ষুদ্র দ্বীপটিরই খাদ্য সমস্যা বাড়ছিল। ভারতে থাকতে পারলে অন্তত খাদ্য সংকট মোকাবিলা সহজ হবে। দেশ বিভাজনের হয়তো এইটাই মূল কারণ। এই জন্যই সাম্প্রদায়িকতায় উসকানি ও দাঙ্গা ঘটানো। ভারতীয় নেতাদের ক্ষমতার লোভ তাতে সহায়ক হয়েছিল।
১৬ অক্টোবর, ১৯৪৯ নেহরু নিউ ইয়র্কের একটি সভায় বলেন, বিভাজনের ফলে এই মর্মান্তিক পরিস্থিতি হবে যদি বুঝতে পারতাম, তাহলে কংগ্রেস দেশভাগে মত দিত না। তিনি একটা কথা চেপে গিয়েছিলেন, মাউন্টব্যাটেনের বিভাজন প্রস্তাব আলোচনার সময়ে গান্ধীজি একেবারেই মুখ খোলেননি। গান্ধীজির সুভাষ-বিরোধী মনোভাবের সুযোগ নিয়েছিল ইংরেজ। কংগ্রেস খুব তাড়াতাড়ি সব সেরে ফেলতে চাইছিল। তারা ভয় পাচ্ছিল যে, সুভাষচন্দ্র ফিরে এলেই ভারত বিভাজন ঠেকাবেন।
তাহলে বিয়াল্লিশের আগস্ট বিদ্রোহ নিয়ে যে এত ঢাক পেটানো হয়ে থাকে, তার কী হল? ‘ভারত ছাড়ো’ এই তোপ দেগে গান্ধীজি বললেন, ‘‘আমি স্বাধীনতা চাই এবং এক্ষুনি, ভোর হবার আগেই।’’ কিন্তু ভোরের আগে স্বাধীনতার পরিবর্তে এল পুলিসের গাড়ি। সমস্ত নেতা গ্রেপ্তার হলেন। গান্ধীজির জন্য প্রাসাদোপম গৃহে ‘বন্দিদশা’র আয়োজন হল।
১৯৪৪-এ মুক্তি পাবার পরে গান্ধীজি ঘোষণা করলেন, বিয়াল্লিশের আন্দোলন শুরুই করা যায়নি এবং এখন আর সেটা আরম্ভ করতেও তিনি পারবেন না। আমরা কিন্তু জানি দেশজুড়ে সেইসময় ব্রিটিশ-বিরোধী বহু হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে চলেছিল। সেসবে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কে?
ওই সময়ে সুভাষচন্দ্র ভারতবর্ষ থেকে অন্তর্ধান করে বার্লিনে ভারতীয় সংগঠন গড়ে তুলছেন। তিনি ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনকে পুরোপুরি সমর্থন করলেন এবং বার্লিন থেকে বেতার ভাষণ দিয়ে তিনি ভারতের জনসাধারণকে নির্দেশ দিতে শুরু করলেন। বললেন, ভারতীয় জনতার লক্ষ্য হবে একটাই—‘এখনই, কিংবা কখনও নয়’ কিংবা ‘জয় অথবা মৃত্যু’। (ভারত ছাড়ো আন্দোলন, বেতার ভাষণ, ১৭ অগস্ট ১৯৪২)। বললেন তিনি—‘আমি সুভাষ বলছি’, বার্লিন থেকে আজাদ হিন্দ রেডিয়োতে। ‘‘১৯২১-৪০ পর্যন্ত প্রচার করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে এবং বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি বিচার করে, আমি আপনাদের কিছু পরামর্শ দিতে চাই। আমার বিশ্বাস, এইসব পরামর্শ আপনাদের সংগ্রামকে সার্থক করে তুলবে।’’
সুভাষচন্দ্র এক এক করে পনেরোটি নির্দেশনামা দিয়েছিলেন। প্রত্যেকটির মূল কথা ছিল, ভারতে ইংরেজ প্রশাসনকে দুর্বল করে দেওয়া, ইংরেজ আধিকারিকদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া। যেমন (১) সংগ্রামকে ক্রমশ ছড়িয়ে দেওয়া; (২) কোনও পরিকল্পনাতেই সাধারণ মানুষদের যতটা সম্ভব কোনও ক্ষতি না হতে দেওয়া; (৩) প্রচার এবং কর্মধারা সবটা অস্ত্র-ছাড়া গেরিলা যুদ্ধে পরিবর্তিত করা; (৪) ভারতে ইংরেজের যুদ্ধাস্ত্র উৎপাদনের কাজ ধ্বংস করা; (৫) বিবিসি-র প্রচার ভাষণগুলো নিয়মিত শোনা, সেগুলো ভারতীয় অবস্থার মধ্যে প্রয়োগ করা; (৬) ইংরেজদের পুরোপুরি বয়কট করা; (৭) সারা দেশে ভাইসরয় থেকে শুরু করে নীচের সারি পর্যন্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বাড়ি পর্যন্ত মিছিল করে গিয়ে তাদের পদত্যাগ দাবি করা; (৮) সকল প্রশাসনিক বিভাগগুলি দখল করে নেওয়া; (৯) সকল আইন অমান্য করা এবং (১০) যে ভারতীয় আধিকারিকরা ইংরেজের সমর্থক, তাদের সামাজিক বয়কট করা; (১১) কর দেওয়া বন্ধ করা; (১২) সব কাজেই দেখে নিতে হবে জনতা যাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়; (১৩) যেসব রাস্তায় পুলিস মিলিটারির আক্রমণ হতে পারে, সেগুলো অবরোধ করা; (১৪) যে আধিকারিকরা জনতার ওপরে অত্যাচার করতে উৎসাহী, তাদের শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা; (১৫) কারখানায়, বিশেষ করে যেখানে যুদ্ধাস্ত্র তৈরি হয়, সেখানে ধর্মঘট করা; (১৬) ইংরেজকে বিব্রত করার জন্য ছাত্রদের দ্বারা নিত্যনতুন অন্তর্ঘাত করার সংগঠন গড়ে তোলা; (১৭) সরকারি অফিসে কেরানিদের অপটুভাবে কাজ করা; (১৮) ব্যবসায়ীদের ইংরেজ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ না-করা; (১৯) ইংরেজদের বাড়িতে কর্মরত ভৃত্যদের ছুতোনাতায় ধর্মঘট করা; (২০) ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের স্ট্যাম্প, পতাকা, স্মারক ইত্যাদি নষ্ট করে দেওয়া; (২১) টেলিফোন, টেলিগ্রাফ পরিবহণের (ট্রাম, বাস) কাজে বাধা দেওয়া; বিশেষত যখন সেনাদল বা যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে যাওয়া হবে—ইত্যাদি।
এসবে ইংরেজ বিব্রত হলেও ব্যতিব্যস্ত হয়নি। আইনশৃঙ্খলার বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে এগুলোকে চালানো হচ্ছিল। তারপরে মূল লড়াইটা শুরু করলেন সুভাষ। তাঁর হাতে তখন অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেমিক, লড়াকু সেনাদল। অবশ্য তাদের অসম যুদ্ধে নামতে হয়েছিল। কুছ পরোয়া নেই, তারা সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছিল। সুভাষচন্দ্র চাইছিলেন এই ফৌজ যখন ভারতের মাটি স্পর্শ করবে, তখন ভারতের অভ্যন্তরে পরিপূরক সংগ্রাম শুরু করতে হবে। বারবার সেই ঘোষণা বেতারে করা হচ্ছিল। কিন্তু সম্ভবত সেই আহ্বান সুষ্ঠুভাবে ভারতের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। ইংরেজ সুভাষচন্দ্রের বেতার ভাষণের সময়ে ঠিক ওইসব কেন্দ্রে বৈদ্যুতিক বাধা সৃষ্টি করত। কংগ্রেস নেতারা অবশ্য যুদ্ধের অবস্থা জানতেন, কিন্তু খবরটা পুরোপুরি চেপে রেখেছিলেন, কারণ সুভাষকে তাঁরা উঠতে দেবেন না।
সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হল তাঁদের, যখন আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনাধ্যক্ষ ও সেনানীদের রাজদ্রোহের অপরাধে বিচার শুরু হল। এইখানেই তাঁদের চালে ভুল হয়ে গেল। ওই বিচারের সময়েই সুভাষচন্দ্রের আজাদ হিন্দ ফৌজের দুর্ধর্ষ সাহসিকতা ও বীরত্ব সম্পর্কে সমগ্র দেশ সব অনুপুঙ্খ জানতে পারল। সুভাষের ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে লাগল, ফৌজের প্রতি সকলে আবেগে অনুরক্ত, শ্রদ্ধায় পরিপূর্ণ। জনবিস্ফোরণ ঘটল, ইংরেজরা বুঝতে পারল এই আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না। যে নেতারা এতকাল সুভাষচন্দ্রের নিন্দা করে আসছিলেন তাঁরা এই বিচারের সময়ে ‘ডিফেন্স’ করতে নামলেন। জহরলালও ওকালতির গাউন চড়িয়ে আদালতে এলেন। তবে সব চিৎকার চেঁচামেচি যখন ফুরিয়ে গেল তখন জহরলাল, প্যাটেল স্বমূর্তি ধারণ করলেন। জহরলাল তো এত কাণ্ডের পরেও সুভাষচন্দ্রকে ‘ওয়ার ক্রিমিনাল’ বলতে দ্বিধা করলেন না।
ব্রিটিশ কমিউনিস্ট পার্টির নির্দেশে সিপিআই মরিয়া হয়ে সুভাষচন্দ্রকে জাপানি প্রধানমন্ত্রী ‘তোজোর কুকুর’ বলে কার্টুন এঁকে ফেলেছিল। আসলে সিপিআই চিরকালই বিদেশি মুরুব্বিদের মুখাপেক্ষী পার্টি। তার এরকম আচরণ মোটেই অস্বাভাবিক নয়। গান্ধীজি অবশ্য শেষকালে সুভাষচন্দ্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন এবং সুভাষকে ‘Patriot of Patriots’ বলতে পেরেছিলেন।
আজাদ হিন্দ সরকারকে জার্মানি, রাশিয়া, ইতালি এবং পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল। ওই হট্টগোলেও জাতীয় সঙ্গীত পর্যন্ত স্থির করেছিলেন সুভাষচন্দ্র। ‘জনগণমন’-এর হিন্দুস্থানি অনুবাদ ‘শুভ সুখ চয়ন’ গানটি আজাদ হিন্দ সরকারের জাতীয় সঙ্গীত হয়েছিল। মজার কথা এই, পরবর্তীতে কংগ্রেস সরকার সংবিধান তৈরি করার সময় নেহরুও ‘জনগণমন’কে বেছে নিয়েছিলেন।
আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বছর পূর্তিতে কেন্দ্রের মোদি সরকার একটি নিয়মরক্ষার অনুষ্ঠান করেছে আসন্ন ভোটের দিকে তাকিয়ে। কোনও রাজ্য অবশ্য কিছুই করেনি। এমনকী পশ্চিমবঙ্গও এই বিষয়ে কোনও অনুপ্রেরণা পায়নি।
একদিকে দেশের নেতাদের একাংশের বিশ্বাসঘাতকতা, অন্যদিকে ইংরেজ সরকারের ছলনা—সব মিলিয়ে উপমহাদেশের ভাগ্য ট্র্যাজিক হয়েই রইল। তথাপি ব্রিটিশ কর্তা এটলিকে স্বীকার করতে হয়েছে, সুভাষচন্দ্রের জন্যই দেশ ছেড়ে যেতে হয়েছে তাঁদের। কংগ্রেসের (পড়ুন, গান্ধীজি) ভূমিকা ছিল ‘ন্যূনতম’। ধর্তব্যের মধ্যেই ছিল না।
সুভাষচন্দ্রই ওই ফৌজি সরকারের প্রধানমন্ত্রী। তাহলে তাঁকে কি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বলা চলে না?
23rd  January, 2019
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

08th  May, 2024
অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। বিশদ

06th  May, 2024
মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

06th  May, 2024
সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

04th  May, 2024
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
একনজরে
ন’বছর ট্রফি নেই। কখনও কখনও প্রত্যাশার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি নাইট রাইডার্স। তৃতীয় খেতাবের স্বপ্ন বার বার হয়েছে চুরমার। তবুও দলের উপর আস্থা হারাননি শাহরুখ খান। এক্ষেত্রে তিনি ব্যতিক্রমী ...

একদিকে মারাঠা সংরক্ষণ নিয়ে তীব্র আন্দোলন ও খরা, অন্যদিকে গোপীনাথ মুন্ডের আবেগ। এই দুইয়ের উপরই নির্ভর করছে বিদ লোকসভা কেন্দ্রের ভাগ্য। ২০০৯ সাল থেকে এই ...

ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি। সারা দেশের লক্ষ লক্ষ মতুয়া সমাজের কাছে পরম বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার স্থান। কামনা সাগরে একবার ডুব দিতে ছুটে আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ভক্তরা। সেই ঠাকুরনগরে সাধারণ মানুষের থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। ...

পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট শিলিগুড়িতে। মেয়র গৌতম দেব ও জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্তের ওয়ার্ড সহ ১১টি ওয়ার্ডে পানীয় জলের সঙ্কট তীব্র। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় প্রযুক্তি দিবস 
৩৩০: কনস্টান্টিনোপল রোম সাম্রাজ্যের নতুন রাজধানী হয়
৯১২: আলেকজান্ডার বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট হন
১৮৫৭: ব্রিটিশদের থেকে দিল্লি দখল করল সিপাহী বিদ্রোহের সেনারা
১৯০৪: স্পেনীয় চিত্রকর সালভাদর দালির জন্ম
১৯১৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী বসন্তকুমার বিশ্বাসের মৃত্যু
১৯১৬: বাঙালি চিত্রশিল্পী নীরদ মজুমদারের জন্ম
১৯২১:  বিশিষ্ট হাস্যকৌতুক অভিনেতা অজিত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৫: জার্মানীর বার্লিন শহরে প্রথমবারের মত বিশ্বে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়
১৯৫৯: বিশিষ্ট কবি বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৫: অনুশীলন সমিতির সদস্য, বিপ্লবী, সাংবাদিক ও সম্পাদক  মাখনলাল সেনের মৃত্যু   
১৯৭০: বলিউড অভিনেত্রী  পূজা বেদীর জন্ম
১৯৭২: কলকাতায় রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৮৩ - নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু ধনঞ্জয়দাস কাঠিয়াবাবার মৃত্যু 
১৯৮৪: স্পেনের ফুটবলার আন্দ্রে ইনিয়েস্তার জন্ম
১৯৮৫ : বাঙালি শিক্ষাবিদ, ভাষাতত্ত্ববিদ ও খ্রিষ্টধর্মপ্রচারক কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু  
১৯৯২: অভিনেত্রী আদা শর্মার জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা ও গায়ক অ্যামি ভির্কের জন্ম
১৯৯৭: দাবাখেলুড়ে কম্পিউটার ডীপ ব্লু প্রথমবারের মতো বিশ্বজয়ী দাবাড়ু হিসেবে গ্যারি কাসপারভকে পরাজিত করে
১৯৯৮: পোখরানে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করল ভারত
২০১৬: বাগদাদে আইএসের হামলায় হত শতাধিক
২০১৮: আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল তাদের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ,তবে প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় কোনোও খেলা গড়ায়নি



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৩ টাকা ১০৬.২৬ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৫ টাকা ৯১.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ১১ মে ২০২৪। চতুর্থী ৫২/৩৮ রাত্রি ২/৫। মৃগশিরা নক্ষত্র ১৩/৩ দিবা ১০/১৫। সূর্যোদয় ৫/২/৯, সূর্যাস্ত ৬/৩/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২৩ মধ্যে পুনঃ ২/৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৪/২৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৯ গতে উদয়াবধি।  
২৮ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ১১ মে ২০২৪। চতুর্থী শেষরাত্রি ৪/২৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১২/৩১। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/১৮ গতে ১২/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৩ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১১/৫৩ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/০ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪০ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৫০ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৭ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৫/২ মধ্যে।
২ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
জাতীয় প্রযুক্তি দিবস  ৩৩০: কনস্টান্টিনোপল রোম সাম্রাজ্যের নতুন রাজধানী হয় ৯১২: আলেকজান্ডার বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের ...বিশদ

08:24:49 AM

আপনার আজকের দিনটি
মেষ: একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। বৃষ: বিদ্যার্থীদের সাফল্যের দিন। মিথুন: অফিসকর্মীদের ...বিশদ

08:21:23 AM

জোড়া স্ত্রীয়ে ২ লক্ষ!
‘কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক মহিলা ১ লক্ষ টাকা করে পাবেন। ...বিশদ

08:10:00 AM

রবিবার রাজ্যে চারটি জনসভা প্রধানমন্ত্রীর
রবিবার একদিনে চারটি জনসভা করতে বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ...বিশদ

08:00:00 AM

আইপিএল: ৩৫ রানে চেন্নাইকে হারাল গুজরাত

10-05-2024 - 11:43:51 PM

আইপিএল: শূন্য রানে আউট মিচেল স্যান্টনার, চেন্নাই ১৭০/৮ (১৮ ওভার) টার্গেট ২৩২

10-05-2024 - 11:29:20 PM