পারিবারিক ধর্মাচরণে মানসিক শান্তি। পেশাদার আইনজীবী, বাস্তুবিদদের অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
গয়না বা সোনার বাট ও বিস্কুট বিক্রির ক্ষেত্রে দোকানিরা পাখির চোখ করেন উৎসবের মরশুমকে। তাই অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর— তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাতে বাড়তি অক্সিজেন জোগায় ধনতেরসের মতো পার্বণ। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের রিপোর্ট বলছে, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে সোনার চাহিদা ছিল ২৬৬.২ টন। অথচ ২০২২ সালে ওই একই সময়ে তা ছিল ২৭৬.৩ টন। এদেশে সোনা বিক্রির বেশিরভাগটাই দখলে রাখে গয়না। ওই তিনমাসে ২০২৩ সালে গয়না বিক্রি হয়েছে প্রায় ২০০ টন। ২০২২ সালে তা ছিল ২২০ টন। অর্থাৎ সোনার ওজনের নিরিখে বিক্রি কমেছে প্রায় ৯ শতাংশ।
২০২২ সালে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে সোনা বিক্রি হয়েছিল মোট ৭৭৪ টন। সেটা গত বছরে কমে হয়েছে ৭৪৭.৫ টন।
কেন কমল সোনার চাহিদা? তার অন্যতম কারণ যে, লাগামছাড়া দাম, তা মানছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের কথায়, গত কয়েকমাস ধরেই সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী। উৎসবের মরশুমেও চড়া দাম ছিল। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে মূল্যবৃদ্ধির কোপ। সাধারণ জিনিসপত্রের দাম এতটাই নাগালের বাইরে যে, তার ধাক্কা সামলানো সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তাই গয়না কেনার উৎসাহে কিছুটা ভাটা ছিল। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের বক্তব্য, পুরনো গয়না ভেঙে নতুন গয়না তৈরির প্রবণতা বেড়েছে ৪০ শতাংশ। তাতে সোনার চাহিদা মার খেয়েছে অনেকটাই। তবে কাউন্সিলের আশা, এই পরিস্থিতি থাকবে না। বাজারের এই মন্দা সাময়িক। সাধারণ মানুষের সোনা কেনার আগ্রহ সার্বিকভাবে কমবে না। তারা হলমার্কযুক্ত গয়নার বিক্রি বাড়ানোর পাশাপাশি সোনা বিক্রির ক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জগুলিকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছে।