পারিবারিক ধর্মাচরণে মানসিক শান্তি। পেশাদার আইনজীবী, বাস্তুবিদদের অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
আমডোলের রামচন্দ্রপুর ও খুটকাইল গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়েছে পাগলা নদী। আগে নদীর জল হেঁটে পেরোতেন দু’পারের গ্রামের মানুষ।
বেশ কয়েক বছর হল, গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছেন। সেই নড়বড়ে সাঁকোর উপর দিয়ে তাঁদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর কেউ খোঁজ রাখেন না। সেতুর অভাবে চাষিরা গ্রামে উৎপাদিত ফসল সময়মতো বাজারে নিয়ে যেতে পারেন না। ফলে তাঁরা ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হন। বয়স্ক, গর্ভবতী ও পড়ুয়াদের সাঁকো পারাপার করা নিয়ে বেশি ভয়। একাধিকবার সাঁকো পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
ব্লক অফিস, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, থানা, সরকারি দপ্তর, বাজার সবই রয়েছে পাইকরে। সেজন্য প্রতিদিন ওই সমস্ত গ্রাম থেকে কয়েকশো মানুষ পাইকরে যাতায়াত করেন। এই সাঁকোর উপর দিয়েই তাঁদের যেতে হয়। বর্ষাকালে পাগলা নদীর ভয়াবহ বন্যায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ দেখা দেয়। তখন নদী পারাপার সম্ভব হয় না। ২৫ কিমি ঘুরপথে পাইকর পৌঁছতে হয়। সেজন্য ওই নদীর উপর একটি কংক্রিটের সেতুর দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।
ভোটের আগে বিষয়টি নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা শুরু হয়েছে। এলাকার বিজেপি নেতা অরিণ দত্ত বলেন, ওই গ্রামের মানুষের কষ্টের কথা শাসকদলের রাজ্যস্তরের নেতারাও জানেন। কিন্তু তাঁরা সেই কষ্ট লাঘব করছেন না। গত বিধানসভা ভোটে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, আমাদের প্রার্থী জিতলে এখানে পাকা সেতু হবে। এবারও বলছি, লোকসভায় আমাদের প্রার্থী দিলে প্রথম যে কাজটি হবে, সেটি হল পাগলা নদীর উপর সেতু।
এলাকার তৃণমূল বিধায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলা পরিষদের মাধ্যমে ওই এলাকায় সেতু তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও জানেন। পরে রাজ্য থেকে বলা হয়, পিডব্লুডির মাধ্যমে জেলাশাসক হয়ে রাজ্যে প্রস্তাব পাঠাতে হবে। এরই মধ্যে দু’বার জেলাশাসক পরিবর্তন হয়। ফলে তখন আর রাজ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়নি। তবে ভোট মিটলেই সেতু নির্মাণে তোড়জোড় শুরু করব।