পারিবারিক ধর্মাচরণে মানসিক শান্তি। পেশাদার আইনজীবী, বাস্তুবিদদের অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মতুয়া ভোট এক্স ফ্যাক্টর নয়। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মাত্র ১৩ শতাংশ মতুয়া ভোট রয়েছে। যার মধ্যে সিংহভাগই তেহট্ট, পলাশীপাড়া, কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বিধানসভায়। তেহট্ট বিধানসভায় প্রায় ৪৮ শতাংশ, পলাশীপাড়া বিধানসভায় প্রায় ৪০ শতাংশ মতুয়া ভোট রয়েছে বলে দাবি করেন মতুয়া প্রার্থী। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, পলাশীপাড়া বাদ দিয়ে কৃষ্ণনগর দক্ষিণ ও তেহট্ট বিধানসভায় গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি লিড দিয়েছিল। অর্থাৎ সেবার মতুয়া ভোট গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতে। এবার তেমন হবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তেহট্টের বাসিন্দা সঞ্জিত বিশ্বাস মতুয়া সম্প্রদায় থেকে নির্দল প্রার্থী হওয়ায় আশা জেগেছে তৃণমূলের মনেও। কারণ ওই এলাকায় বিজেপির মতুয়া ভোটে এবার চিড় ধরবে বলেই তাদের আশা। কিন্তু কে এই সঞ্জিত বিশ্বাস? এলাকায় কোয়াক ডাক্তার বলেই তিনি পরিচিত।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মতুয়া সম্প্রদায়ের এক পরিচিত মুখ। মতুয়া আন্দোলনের সঙ্গেও তিনি যুক্ত। এমনকী কৃষ্ণনগর লোকসভা থেকে ভালো পরিমাণ মতুয়া ভোট পাওয়া নিয়েও তিনি যথেষ্ট আশাবাদী। শুধু তাই নয়, নাম না করে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটের স্বার্থে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে মতুয়াদের ব্যবহার করা নিয়েও তিনি সরব হন। এমনকী আগামী দিনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিধানসভা ভিত্তিক মতুয়া প্রার্থী করা হতে পারে বলেও তিনি জানান।
মতুয়া ভোট বিজেপিতে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মতুয়াদের একটা বড় অংশের আশা ছিল, বিজেপিকে ভোট দিলে সিএএর মাধ্যমে তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন। এর ফলে তাঁদের দীর্ঘদিনের উদ্বাস্তু তকমা মুছে যাবে। কিন্তু সিএএ আইন যে পাস হল, তাতে আমাদের আশা পূরণ হবে না। উল্টে আমাদের নিজেদেরকেই অনুপ্রবেশকারী শংসাপত্র দিতে হচ্ছে। মতুয়ারা এখন বিজেপির এই কৌশল ধরে ফেলেছে।
কৃষ্ণনগর সংগঠনিক জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, বিজেপির মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক বলে কিছু নেই। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে বিজেপি একটা সম্প্রদায়ের মানুষকে দিনের পর দিন ঠকিয়েছে। এটা মতুয়া ভাইবোনেরা বুঝে গিয়েছেন।
কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার বলেন, কে কোথায় দাঁড়াল, তাই নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। এবারও সমস্ত মতুয়া ভোট বিজেপি পাবে। কারণ মতুয়ারা বিশ্বাস করেন, মোদির সঙ্গে থাকলে তাঁরা যোগ্য সম্মান পাবেন।