পারিবারিক ধর্মাচরণে মানসিক শান্তি। পেশাদার আইনজীবী, বাস্তুবিদদের অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
চতুর্থ দফায় জেলার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেও প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। মুর্শিদাবাদ পুলিস জেলায় যে বাহিনী আসছে, তা থেকেই চতুর্থ দফায় মোতায়েন করা হবে বলেই জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, মুর্শিদাবাদ পুলিস জেলায় ১১৪ কোম্পানি এবং জঙ্গিপুর পুলিস জেলার ৬৪ কোম্পানি বাহিনী থাকছে। তৃতীয় দফায় জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ আসনের নির্বাচনের পর আমরা চতুর্থ দফায় বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের জন্য মুর্শিদাবাদ পুলিস জেলায় আসা এই বাহিনী ব্যবহার করতে পারব।
জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে নবগ্রাম, লালগোলা ও খড়গ্রাম বিধানসভা, মুর্শিদাবাদ পুলিস জেলার অন্তর্গত। অপরদিকে মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রের দু’টি বিধানসভা অর্থাৎ সামশেরগঞ্জ ও ফরাক্কা জঙ্গিপুর পুলিস জেলার অন্তর্গত। এদিকে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত করিমপুর বিধানসভাটি নদীয়া জেলায় অবস্থিত। সুতরাং প্রতিটি কেন্দ্রেই বুথের সংখ্যা বিচার করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গিপুর পুলিস জেলায় মোট ৮৬১টি ভোট কেন্দ্রে ১৫২৯ পোলিং বুথ আছে। সেখানে মোট ২৬২৮ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন থাকছে। মুর্শিদাবাদ পুলিস জেলায় ১৭৬৩টি ভোট কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ২৪৮২। সেখানে ৪৭২৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন থাকবে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী বলেন, মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী সবথেকে বেশি দরকার। এখানকার মানুষদের বলেছি, এখানে তৃণমূলের কোনও রংবাজি চলবে না। কোনও বুথ দখল হবে না। মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন। পূর্ণ ব্যবস্থা নিয়েছি আমরাও।
বহরমপুরের বিজেপি সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া নির্বাচন প্রক্রিয়া অসম্ভব। রাজ্য পুলিসের উপর কোনও ভরসা নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভরসায় মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দেবেন। সুতরাং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আমরা ব্যাপকভাবে সমর্থন জানাই।
বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব সরকার (ডেভিড) বলেন, ২০২১ সালে বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে। মুর্শিদাবাদের মানুষ বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসকে একসঙ্গে বিদায় জানিয়েছে। এবার ১৭৪ কোম্পানি কেন, এক লক্ষ বাহিনী দিলেও সমস্যা নেই। শুধু বুথে কেন, পারলে, প্রতিটি বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাক। তবে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে আমরা দেখেছি, অহেতুক কেন্দ্রীয় বাহিনী আক্রমণ করেছে এবং তৃণমূলের কর্মীদের ভীতি প্রদর্শন করছে। আমাদের অনুরোধ, মুর্শিদাবাদের মতো সংখ্যালঘু জেলায় শীতলকুচির মতো ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।