ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ভোট যন্ত্রগুলির কমিশনিং হবে। সেই জন্য প্রত্যেক স্ট্রং রুমে আগে থেকেই সেগুলি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের লোকসভা নির্বাচনেই প্রথম জেলায় ন’টি স্ট্রংরুম তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট কর্মীদের বুথে যাতায়াতের দূরত্ব ও হয়রানি কমাতে এই উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। বিষ্ণুপুর মহকুমার প্রত্যেকটি বিধানসভার জন্য একটি করে ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার খোলা হচ্ছে। খাতড়া মহকুমার রাইপুর, রানিবাঁধ ও তালডাংরা বিধানসভার ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার হয়েছে খাতড়ার আদিবাসী মহাবিদ্যালয়ে। বাকি বাঁকুড়া সদর মহকুমার জন্য বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, ওন্দা, মেজিয়া ও বড়জোড়ায় ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার তথা স্ট্রং রুম খোলা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেইসব স্ট্রং রুমগুলিতে নিরাপত্তা, পার্কিং জোন ও পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। ফলে সেখানেই ইভিএম যন্ত্রগুলির সাহায্যে ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। ভোট গ্রহণ পর্ব শেষে ফের ওই ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারগুলিতে ফিরে আসবে ইভিএমগুলি। সেখান থেকে গণনার জন্য বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষ্ণুপুরের কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে নিয়ে যাওয়া হবে। এই প্রক্রিয়ার জন্য এদিন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিল প্রশাসন। বুধবার বিষ্ণুপুর মহকুমার চার বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ইভিএম গিয়েছে স্ট্রং রুমগুলিতে। বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, ইন্দাস ও সোনামুখী বিধানসভার জন্য তৈরি হওয়া স্ট্রং রুমগুলিতে ইভিএম পৌঁছনো হচ্ছে। আজ, বৃহস্পতিবার রাইপুর, রানিবাঁধ, তালডাংরা ও শালতোড়া বিধানসভার জন্য ইভিএম পাঠাবে কমিশন। শুক্রবার যাবে বাকি ওন্দা, বড়জোড়া, বাঁকুড়া ও ছাতনা বিধানসভার ইভিএম।
প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইভিএমগুলি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে স্ট্রং রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাতে কোনও ধরনের অভিযোগ না ওঠে সেইজন্য জিপিএস লোকেশন যন্ত্র বসানো হয়েছে শিল্ড কন্টেনারে। এমনকী পুলিসের সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে এসকর্ট করে ইভিএমগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্ট্রং রুমে গিয়ে ইভিএমগুলিতে ব্যালট বসানো হবে। ইঞ্জিনিয়াররা গিয়ে যন্ত্র দেখে নেবেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলিকেও খবর দেওয়া হয়েছে। তারা ইভিএম দেখে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমরনাথ শাখা বলেন, ইভিএম নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রশাসন আমাদের বলেছে। প্রত্যেকটি স্ট্রং রুমে আমাদের কর্মীরা রয়েছেন। তাঁদের ইভিএমগুলি গুনে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কন্টেনারগুলি থেকে চেক করে গুনে তা নামিয়ে নেওয়ার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।