ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, নবদ্বীপ ব্লকের ৮ হাজার ২০০ হেক্টর কৃষি জমি আছে। বিশেষ করে মায়াপুর-বামুনপুকুর ২, মহিশুরা, ফকিরডাঙা-ঘোলাপাড়া, মায়াপুর- বামুনপুকুর ১, মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েত এলাকায় সব থেকে বেশি কৃষি জমি রয়েছে। এছাড়া চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগর, বাবলারি, স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকায় কৃষিজমি আছে। বর্তমান সরকার, প্রত্যেক পঞ্চায়েত এলাকায় এখন উন্নত প্রজাতির বীজ থেকে শুরু করে কৃষক বন্ধুর টাকা, পেনশন, এছাড়া উন্নত কৃষি যন্ত্রপাতি ট্রাক্টর থেকে ডেলিভারি পাইপ, স্প্রে মেশিন, বিচালি কাটার মেশিন সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পৌঁছে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ভর্তুকির ব্যবস্থাও করে দিয়েছে। নবদ্বীপ ব্লকের কৃষকরা এখন কৃষক বন্ধু, কৃষক ভাতা, বাংলার শস্য বিমা, আত্মা, আরকেভিআই, এনএমওওপি ইত্যাদি স্কিমের সুযোগ পাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ১৭ হাজারেরও বেশি চাষি ‘কৃষক বন্ধু’ ভাতা পেয়েছেন। প্রত্যেক কৃষকের এক একর করে জমি থাকলে চাষবাস করার জন্য বছরে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয় কৃষক বন্ধু প্রকল্পে। বছরে ১২ থেকে ১৩ হাজার জন ‘বাংলার শস্য বিমা’ পান। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বন্যায় যদি ফসলের ক্ষতি হয়, তবে শস্য বিমার অধীনে থাকা কৃষকরা ফসলের ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। কৃষি পেনশন প্রকল্পে কৃষকদের এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। নবদ্বীপ ব্লকে এমন প্রায় ১৬৫ জন কৃষককে কৃষি পেনশন দেওয়া হয়। আত্মা, আরকেভিআই (রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা), এন এফ এস এম ( ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি মিশন ) এন এম ও ও পি সহ বিভিন্ন স্কিমের মাধ্যমে (ডেমনেস্টিশন) প্রদর্শনী ক্ষেত্র ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এছাড়াও প্রচুর স্কিম আছে যেগুলির অধীনে ফসলের বীজ ও উন্নত মানের যন্ত্রাংশ দেওয়া হয়।
মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের নতুন ঘোলাপাড়ার সত্যচরণ ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের মতো কৃষকদের জন্য অনেক প্রকল্প চালু করেছেন। তাই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আছি। মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের শিল্প ও পরিকাঠামো দপ্তরের সঞ্চালক মিঠুন ঘোষ বলেন, কৃষিপ্রধান এই পঞ্চায়েতের নব্বই শতাংশ মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। কৃষকদের পাশে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সর্বদা আছেন। সে কারণে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর লড়াইয়ে শামিল হচ্ছেন ওঁরা।
নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌলতে এখন এমন একটা কৃষক পরিবারে নেই, যেখানে লেখাপড়া জানা ছেলেমেয়ে নেই। এমনকী কোন কৃষক ৬০ বছরের আগে মারা গিয়েছেন তো তাঁদের পরিবারকে ১৫ দিনের মধ্যে ২ লক্ষ টাকা করে তাঁদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে। সেইসব কৃষক পরিবারগুলো শুধু প্রচারে বেরচ্ছেন তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রার্থীকে ঢেলে ভোট দেবেন।