শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
ঘটনা-২ বেলা দেড়টা। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলেশ্বরী উন্নয়ন কলোনি। ১৯৯ নম্বর বুথ থেকে ২০০ মিটার দূরে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির নির্বাচনী ক্যাম্প। তৃণমূলের ক্যাম্পে মহিলাদের ভিড় জমজমাট। আর বিজেপির ক্যাম্পে মাত্র তিনজন পুরুষ। ভোট নিয়ে প্রশ্ন করতেই তৃণমূলের ক্যাম্পের মহিলারা বলেন, দিদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়েছেন। আমরা দিদির ঝান্ডা ধরেছি। আর বিজেপির কর্মীরা বলেন, ক্যাম্পে লোক না থাকলেও আমাদের ভোট হচ্ছে। এই দু’টি ঘটনা উদাহরণমাত্র। শুক্রবার শিলিগুড়ি শহরে সুভাষপল্লি, সূর্যনগর থেকে মহাকালপল্লি, প্রধাননগর, মাল্লাগুড়ি সর্বত্রই এ ধরনের ছবি ধরা পড়েছে। শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মহানন্দা বিদ্যামন্দিরে ৬৭, ৬৮ ও ৬৯ নম্বর বুথ হয়। এখানে ২০০ মিটার দূরে তৃণমূলের ক্যাম্পে মহিলাদের ভিড় ছিল জমজমাট। পাশেই সিপিএম ও বিজেপির ক্যাম্পে ছিল হাতেগোনা দুই থেকে তিনজন কর্মী। আর স্কুলের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের শেষ টিপস দিচ্ছিলেন তৃণমূল নেতারা। শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে নেতাজি হাইস্কুলে তিনটি বুথ হয়। এখানেও বুথ চত্বরে ছিল তৃণমূলে মহিলা বাহিনীর সক্রিয়তা। এখানে বেঞ্চে বসে এক ভোটারের সঙ্গে গল্প করে অলস দিন কাটান কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান। মধ্যাহ্নভোজ সেরে ভোটকর্মীও ব্রাশ করেন। শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুলে দু’টি বুথ হয়। দুপুর আড়াইটে নাগাদ কোর্ট মোড়ে তৃণমূলের বুথে মহিলাদের ঠাসাভিড়। তাঁরা টিফিন এবং দুপুরে বিরিয়ানির প্যাকেট বিলি করেন। পাশে বিজেপির ক্যাম্পে হাতেগোনা লোক। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র তথা তৃণমূলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা গৌতম দেব বলেন, এবার ভোটের চিত্র অতীতের তুলনায় কিছুটা অন্যরকম। তৃণমূলের হয়ে ময়দানে নেমে ভোট করেছে মহিলা ব্রিগেড।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল ঝড়ে ২০১১ সালে শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সাফ হয় বামফ্রন্ট। এরপর ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এই কেন্দ্র উদ্ধার করে বামফ্রন্ট। এখানকার পুরসভা এবং মহকুমা পরিষদ তারা কব্জায় রাখে। দীর্ঘ লড়াই করেও ২০২১’র নির্বাচনে এখানে সাফল্য পায়নি তৃণমূল। এই কেন্দ্র দখল নেয় বিজেপি। এরপর পুরসভা ও মহকুমা পরিষদের ভোটে তৃণমূলের ব্যাপক উত্থান হয়। এমন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এখানে তেমন ভেলকি দেখাতে পারেনি পদ্ম শিবির। বেলা গড়াতেই অনেক বুথ থেকেই তাদের কর্মীরা পিঠটান দেন। কংগ্রেস ও সিপিএম জোটের উপস্থিতিও ছিল আনুষ্ঠানিক।
বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজু সাহা অবশ্য বলেন, ময়দানে ছিলাম। একুশের বিধানসভা ভোটের মতো এবারও নিঃশব্দ বিপ্লব হয়েছে। কংগ্রেস নেতা সুজয় ঘটক বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। এটা সাইলেন্ট ভোট। এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।