ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
এব্যাপারে বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ বলেন, মোদিজির সভায় আমরা সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ লোক জমায়েত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি। প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে দুপুরে রোড শো হওয়ায় অমিতজির কর্মসূচিতে ভিড় কিছুটা কম হয়েছিল। তবে ছায়ায় অনেক লোক দাঁড়িয়ে রোড শো দেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সভার সময় সকাল ৮টা নাগাদ করা হয়েছে। ফলে ভোর থেকেই সভাস্থলে লোক ঢুকতে শুরু করবেন। মোদিজির বক্তব্য শোনার জন্য জেলাবাসী অপেক্ষা করছে।
জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ হবিবপুর এবং বেলা ১টায় সুজাপুরে দলনেত্রী জনসভা করবেন। ওই দুই সভায় আমরা রেকর্ড লোক জড়ো করব। ইতিমধ্যে সভাস্থলে লোক নিয়ে যাওয়ার জন্য অটো, টোটো সহ অন্যান্য গাড়ি জোগার করার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় মুখ্যমন্ত্রী দুটি জনসভা করেছেন। গাজোল ও মানিকচকের ওই দুই সভায় ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছে।
লোকসভা ভোটের প্রচারে বিজেপি ও তৃণমূল শিবিরের একাধিক তারকা প্রচারক এবার জেলায় সভা, রোড শো, পদযাত্রা করছেন। তবে দুই দলের নেতাকর্মীরা মূলত নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা শোনার জন্যই অপেক্ষা করছেন। বিভিন্ন ইস্যুতে বর্তমানে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হচ্ছে। তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিজেপি ও তৃণমূলের নেতানেত্রীরা বিপক্ষ শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগা শুরু করেছেন। লোকসভা ভোটের প্রচার চলায় বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে। এদিকে, মালদহে এবার ত্রিমুখী লড়াই হলেও কংগ্রেস বা সিপিএমের হেভিওয়েট নেতানেত্রীদের সেভাবে প্রচারে দেখা যায়নি। তুলনায় সারা দেশের প্রচার সামলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যে জেলায় ঘুরে গিয়েছে। তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতানেত্রী মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও জেলায় চুটিয়ে প্রচার সেরেছেন। প্রচারে বিপক্ষকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না বলে তৃণমূলনেত্রী ঘোষণা করেছেন। ‘জেলার দুটি আসনই চাই’, বলে তিনি প্রত্যয়ী ঘোষণা করেছেন। এদিকে, বিজেপিও এবার উত্তর মালদহের পাশাপাশি দক্ষিণ মালদহ কেন্দ্রটিও দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ফলে যুযুধান উভয় শিবিরের শীর্ষ দুই নেতানেত্রীর ‘সম্মুখ সমর’ দেখতে মালদহবাসী মুখিয়ে রয়েছেন।