ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
গত মঙ্গলবার শহরে রোড শো করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল শেষে পথসভায় অভিষেক দলের কর্মীদের সাবধান করে বলেছিলেন, বিজেপির হাতে উন্নয়নের অস্ত্র নেই। তাই বিজেপি ভোটের আগে টাকা বিলি করতে পারে। সেই আশঙ্কা মাথায় রেখেই শ্রমিক মহল্লাগুলিতে বৃহস্পতিবার রাত জাগলেন তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরা। ভোটের আগের রাতে শ্রমিক লাইনে কারা আসছে, কারা যাচ্ছে তার উপর নজরদারি ছিল তৃণমূল কর্মীদের।
আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনে ১১৬টি চা বাগান। চা বাগানে মোট বুথ ৪৭২টি। প্রতিটি বাগানে তৃণমূল চা শ্রমিক ইউনিয়নের শক্তিশালী ইউনিট কমিটি রয়েছে। প্রতিটি বাগানে রয়েছে পাঁচ-ছ’টি করে শ্রমিক লাইন। দলের চা শ্রমিক ইউনিট কমিটিগুলির অধীনে রয়েছে এই লাইন ইউনিট কমিটি।
দলের লাইন ইউনিট কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার রাত জেগে শ্রমিক লাইনগুলিতে পাহারা দিয়েছেন। তৃণমূল নেতাদের দাবি, বিজেপির হাতে চা বাগান ও চা শ্রমিকদের জন্য উন্নয়নের কোনও অস্ত্র ছিল না। অন্যদিকে, চা শ্রমিকদের হাতে সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্য সরকারের নানা উন্নয়নের ডালি। চা বাগানে উন্নয়নই আমাদের অস্ত্র।
তৃণমূল চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার বলেন, বিজেপির না আছে উন্নয়ন, না আছে অন্যকিছু। ফলে ভোটের আগে শ্রমিক লাইনগুলিতে বিজেপির টাকা বিলি রুখতে বৃহস্পতিবার রাতে শ্রমিক লাইনগুলিতে আমাদের কর্মীরা সজাগ ছিলেন। আমাদের কর্মীরা সজাগ ছিলেন বলে বিজেপি টাকা বিলি করতে পারেনি। এবার শ্রমিকদের ভোট আমাদের পাশেই থাকছে।
যদিও তৃণমূলের এই অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গার পাল্টা তোপ, তৃণমূলের মতো দুর্নীতির টাকা বিজেপির হাতে নেই। চা শ্রমিকরা বরাবর পাশে থাকেন। শ্রমিকরা যে এবারও আমাদের পাশেই থাকবেন তা নিয়ে সন্দেহের কোনও নেই।