বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ৭৭.২৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল পেয়েছিলেন ৪১ হাজার ৭৪২ ভোট। বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর ঝুলিতে গিয়েছিল ৮৩ হাজার ৯৪৪ ভোট। গত লোকসভায় রায়গঞ্জ বিধানসভায় বিজেপির লিড ছিল ৪২ হাজার ২০২ ভোট।
২০২১ বিধানসভাতেও এই আসন থেকে বিজেপি জয়লাভ করে। সেবার বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী পেয়েছিলেন ৭৯ হাজার ৭৭৫ ভোট। অর্থাৎ ৪৯. ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। কানাইয়ালাল পেয়েছিলেন ৫৯ হাজার ২৭ ভোট। অর্থাত্ ৩৬.৫৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। বিধানসভা ভোটে বিজেপির লিড ছিল মাত্র ২০ হাজার ৭৪৮।
রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী গত তিন বছর রায়গঞ্জের বিধায়ক ছিলেন। বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। কৃষ্ণ বলেন, তিন বছর মানুষের জন্য কাজ করেছি। এখানে আমাদের সংগঠন যথেষ্ট মজবুত। রায়গঞ্জ বিধানসভা থেকে ব্যাপক লিড পাব।
দলের উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখপাত্র তথা রায়গঞ্জের পুর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাসের কথায়, কৃষ্ণ কল্যাণী শুধুমাত্র আমাদের প্রার্থীই নন। তিনি গত তিন বছর আমাদের বিধায়কও ছিলেন। তাঁর পরামর্শেই আমরা কাজ করেছি। আশা করছি এখানে আমরা বিজেপিকে পর্যদুস্ত করতে পারব।
রায়গঞ্জ কেন্দ্র নিয়ে তৃণমূলের আশার কারণ, যত সময় এগিয়েছে, আলগা হয়েছে বিজেপির পায়ের তলার মাটি। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই থেকেই রায়গঞ্জে শুরু হয় বিজেপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। বিধানসভা ভোটের এক সপ্তাহ আগে জেলা সভাপতি পরিবর্তন হয়। ক্রমশ বিজেপির দলীয় কোন্দল এতটাই তীব্র হয়, যা সমগ্র জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী বিজেপি নেতৃত্বের আন্দোলন ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল গেরুয়া শিবিরকে। রায়গঞ্জ শহরের পাশাপাশি লোকসভায় বিজেপির প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পালের গড় কালিয়াগঞ্জেও দণ্ডিযাত্রা করেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা কর্মীরা। বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহের ঝাঁঝ এতটাই বাড়ে যে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিদায়ী সাংসদকেও এই আসন থেকে সরতে হয় এবং ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করে গেরিয়া শিবির।
তাতেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি পদ্ম শিবির। দলের প্রবীণ নেতা নির্দল প্রার্থী হিসেবে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই পরিস্থিতির জেরে বিজেপির লিড ধরে রাখা যথেষ্ট কঠিন।
যদিও বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই নির্বাচন পরবর্তী বিশ্লেষণ বৈঠক করেছি। মানুষ আমাদের দু’হাত ভরে ভোট দিয়েছেন।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, এখানে তৃণমূল এবং বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে। রায়গঞ্জ বিধানসভা থেকে আমরাই লিড দেব।