সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদল ধূপগুড়িতে দাপিয়ে প্রচার করেছে। সেভাবে বড় মিছিল, জনসভা না হলেও প্রচারে জোর দিয়েছে বাম-কংগ্রেস শিবির। বাম ভোটারদের ভোট ফেরাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার সেরেছেন তাঁরা। কারণ, নিজেদের ভোট ফেরাতে না পারলে প্রার্থী দেবরাজ বর্মনের লড়াই আরও শক্ত হবে বলে মনে করছেন বাম নেতারা।
গত বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় ৯৭ হাজার ৬১৩ ভোট পেয়েছিলেন। বিজেপি প্রার্থী পেয়েছিলেন ৯৩ হাজার ৩০৪টি ভোট। বামপ্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়ের পক্ষে পড়েছিল ১৩ হাজার ৭৫৮ ভোট। বাম নেতৃত্বের দাবি, উপনির্বাচনে মহকুমা ইস্যুতে কিছু ভোট তৃণমূলের দিকে গেলেও, এবার সেই ভোট ফিরবে। ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিতে যাওয়া ভোটও তারা ফিরে পাবে বলে বিশ্বাস। সিপিএমের ধূপগুড়ি এরিয়া কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত মজুমদার বলেন, আমাদের কিছু দলীয় কর্মীর ভোট তৃণমূল ও বিজেপিতে গিয়েছিল। এখন মানুষ বুঝেছে, দু’টি দলেরই স্বচ্ছতা নেই। তাই সেই ভোট বামে ফিরতে চলছে। তাঁর দাবি, ধূপগুড়িতে সিপিএমের প্রার্থীর সমর্থনে মিটিং মিছিলে এমনটাই আভাস পাওয়া গিয়েছে।
তৃণমূলের পাল্টা দাবি, ধূপগুড়ি মহকুমা হয়েছে। তাই সাধারণ মানুষের সমর্থন তাদের দিকেই থাকবে। বামেদের বিশাল অংশের ভোটও রাজ্য সরকারের উন্নয়নের পক্ষেই সমর্থন জানাবে। ধূপগুড়ির তৃণমূল যুব সভাপতি ধরণী রায় বলেন, মানুষ বুঝে গিয়েছে বাম ও বিজেপি একই। এছাড়াও ধূপগুড়িকে মহকুমা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে বামেদের বড় অংশের ভোট তৃণমূলের ঝুলিতে আসবে।
এদিকে, বামেদের ভোট নিয়ে আশা ছাড়ছে না বিজেপি। তাদের দাবি, অনেক বামমনস্ক মানুষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেবেন। ধূপগুড়ির বিজেপির নেতা সুব্রত রায় বলেন, তৃণমূলকে হারাতে বাম সমর্থকরা বিজেপিকেই ভোট দেবেন।