বহু প্রচেষ্টার পর পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে শরিকি সহমত। ব্যবসা, পেশা ও ধর্মকর্মে শুভ সময়। ... বিশদ
এবার লোকসভায় হরিরামপুর বিধানসভা থেকে রেকর্ড মার্জিনের লিড ধরেছে তৃণমূল শিবির। যদিও হরিরামপুর বিধানসভার হরিরামপুর ও বংশীহারি ব্লকের একটা বড় অংশের পরিযায়ী শ্রমিক ভোটারদের আনতে পারেনি শাসক শিবির। বিরোধী শিবিরও পরিযায়ী ভোটারদের থেকে অনেক দূরেই থেকেছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ২০১৯ লোকসভা ও ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছিলেন। এবার সেটা কমে ৭৭ শতাংশ। গত লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ৫ হাজার ভোটে শাসক শিবির এগিয়ে থাকলেও, ২০২১ বিধানসভায় ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে আসনটি জিতেছিল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে হরিরামপুর ব্লকে তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপক গোষ্ঠীকোন্দল দেখা গিয়েছিল। তখন বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল সদস্যরা সৈয়দপুর ও গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে। উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লক লাগোয়া জেলার দুটি পঞ্চায়েতে বরাবরই তৃণমূল ব্যাপক লিড দিয়ে আসছে। এবার সমীকরণ কী দাঁড়িয়েছে, সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর শাসক শিবিরের। বংশীহারি ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ব্রজবল্লভপুর বিজেপির দখলে রয়েছে। তিনটি তৃণমূলের হাতে। বুনিয়াদপুর পুরসভায় জনতার রায় ২০১৯ লোকসভা ও ২০২১ বিধানসভায় শাসক দলের বিপক্ষে যায়।
এবারও একই পরিস্থিতি হতে পারে আঁচ করে পুরসভার প্রশাসক প্রাক্তন চেয়ারম্যান অখিল বর্মনকে নির্বাচনের আগে পদ থেকে সরিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করে শাসক শিবির। গেরুয়া শিবির আবার নিজেদের দখলে থাকা ব্রজবল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও বুনিয়াদপুর শহরের ভোট ব্যাঙ্ক ধরে লিডের হিসেবে কষছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, হরিরামপুরের সৈয়দপুর, গোকর্ণ ও পুণ্ডরীতে গ্রাম পঞ্চায়েতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অনেকটা এড়িয়ে আমরা ভালো ভোট করাতে পেরেছি। লিড আসবে তিনটি পঞ্চায়েতে। আমাদের ভালো ফল হবে বংশীহারির চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতেও। বিজেপির দখলে থাকা ব্রজবল্লভপুরে এবারে মিরাকেল হবে। বুনিয়াদপুরে আমাদের যা ক্ষতি হয়েছে তার বেশি হওয়ার জায়গা নেই। ভোট কম পড়লেও লিডের বিশেষ ফারাক হবে না।বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীর কথায়, পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে যাঁরা তৃণমূলের ভোটার, তাঁরা এবার ভোট দিতে আসেননি। হরিরামপুর ব্লকে এবারে আমরা শক্তি বাড়িয়েছি। বুনিয়াদপুর শহর মিলিয়ে আমাদের ১০ হাজারের লিড থাকবে।